রেল স্টেশনে বিনামূল্যে ওয়াইফাই পরিষেবা পাবেন না যাত্রীরা। যদিও সাত বছর আগের কেন্দ্রীয় বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছিল বিনামূল্যে ওয়াইফাই পরিষেবা মিলবে। কিন্তু রেল স্টেশনগুলিতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মিলবে না ওয়াইফাই পরিষেবা। এমনকী ব্যবহারের আধঘণ্টা পর থেকে দিন প্রতি সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে মাস পিছু সর্বোচ্চ ৭৫ টাকা পর্যন্ত ‘প্ল্যান’ কিনতে হবে সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে। তার সঙ্গে জুড়বে জিএসটি। মঙ্গলবার ৬ হাজার রেল স্টেশনে ওয়াইফাই পরিষেবা শুরু করে ফের এই কথাই জানিয়ে দিল রেলমন্ত্রকের অধীনস্ত সংস্থা রেলটেল।
কেন এমন পদক্ষেপ করা হচ্ছে? রেল সূত্রে খবর, প্রতিটি পরিষেবার জন্যই অর্থ দেওয়া নিয়ম। সেখানে ওয়াইফাই একটি পরিষেবা। সেটা যিনি নিচ্ছেন তিনি কিছুক্ষণ বিনামূল্যেই পাচ্ছেন। তারপর অর্থ দিতে হচ্ছে। তাছাড়া রেলের আয় বাড়াতে হবে। তাই এই পরিষেবা আর বিনামূল্যে দেওয়া সম্ভব নয়। এখন প্রশ্ন উঠছে, প্রথম ৩০ মিনিট বিনামূল্যে পরিষেবা দিলেও তারপর থেকে যদি রেল স্টেশনে ওয়াইফাই ব্যবহার করার জন্য অর্থ খরচ করতেই হয়, তাহলে ফ্রি সার্ভিসের তাৎপর্য কী? কেন্দ্রীয় বাজেটে বড় মুখ করে ঘোষণার অর্থই বা কী? যদিও এই নিয়ে মুখ কুলুপ এঁটেছেন রেল কর্তারা।
ঠিক কী জানিয়েছে রেলটেল? এদিন রেলটেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দিন প্রতি ১০ টাকার প্ল্যানে ৩৪ এমবিপিএস স্পিডে পাঁচ জিবি ওয়াইফাই ডেটা পাবেন ব্যবহারকারী যাত্রী। আর ৩০ দিনের জন্য ৭৫ টাকার প্ল্যানে মিলবে ৬০ জিবি ওয়াইফাই ডেটা পরিষেবা। স্পিড থাকবে ৩৪ এমবিপিএস। কিন্তু প্রথম আধঘণ্টায় বিনামূল্যে যে ওয়াইফাই তার স্পিড হবে এক এমবিপিএস। এমনকী রেল স্টেশনে উচ্চ গতি সম্পন্ন ওয়াইফাই পরিষেবা ব্যবহার করতে চাইলে বাড়তি অর্থ খরচ করতে হবে।
এখন যাত্রীদের অভিযোগ, এমনিতেই রেলের টিকিটের দাম বেড়েছে। সমস্ত পরিষেবা অর্থ দিয়েই পেতে হয়। সেখানে ওয়াইফাই বিনামূল্যে দেওয়া গেল না! ট্রেনে তো কেউ সংসার পাতবে না। সফর করার সময় একঘেয়েমি কাটাতে বা জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে। যদিও রেলটেল দাবি করেছে, প্রায় সব রেল স্টেশনেই এই পরিষেবা কার্যকর করা গিয়েছে। আর কিছু স্টেশন বাকি রয়েছে। তা শীঘ্রই শেষ হবে।