অনেকটা নমনীয় হয়েছে সরকার। কিন্তু ক্রমশই আরো সুর চড়াচ্ছে কৃষকরা। তাদের দাবি সংশোধনী নয়, বাতিল করতে হবে তিনটি কৃষি আইন। সেই দাবি মানা না হলে তারা দেশব্যাপী রেল অবরোধের পথে হাঁটবেন বলেও এদিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষক সংগঠনের নেতারা।
এদিন কেন্দ্রের দেওয়া প্রস্তুাব নিয়ে নিজেদের মধ্যে একপ্রস্ত বৈঠক হয় চাষীদের। সেখানেই ঠিক করা হয় আন্দোলন আরো তীব্র করা হবে। একই সঙ্গে দিল্লিতে আসার সবকটি হাইওয়েতে তারা অবরোধ করবেন বলেও জানিয়েছেন চাষীরা। সিঙ্ঘু সীমান্তে প্রেস কনফারেন্সে চাষীরা বলেন যে দাবি না মানলে এবার রেল অবরোধ হবে। কৃষক নেতা বুটা সিং বলেন সেটা শুধু আগের মতো হরিয়ানা ও পঞ্জাব নয়, সারা দেশ জুড়ে করা হবে।
অন্যদিকে এদিন সরকারের তরফ থেকে ফের চাষীদের আলোচনার টেবিলে ফিরতে বলেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র তোমার ও রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তোমার বলেন যে আলোচনা যখন চলছে তখন আন্দোলন তীব্র করা উচিত নয়। যেসব প্রস্তাবগুলি পাঠানো হয়েছে সেগুলিকে চাষীদের বিবেচনা করে দেখার আর্জি জানান তিনি।
তবে এসব আবেদন শুনতে রাজি নয় চাষীরা। আরেক চাষী নেতা বলবীর সিং রাজেওয়াল বলেন যে কেন্দ্র মেনে নিয়েছে এই আইনগুলি বণিকদের স্বার্থে তৈরি হয়েছিল। কৃষিকাজ যদি রাজ্যের অধীনে থাকে তাহলে কেন্দ্র কেন আইন বানাচ্ছে সেই নিয়ে প্রশ্ন করেন তিনি।
দিল্লির সীমান্তে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চাষীরা প্রতিবাদ করছেন তিনটি কৃষি আইন নিয়ে। তাদের দাবি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য তুলে দিতে চাইছে কেন্দ্র ও মান্ডি ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্র প্রস্তাব দিয়েছে যে তারা লিখিত ভাবে আইনে লিখে দেবে যে এমএসপি-র প্রথা চলবে। কিন্তু তাতেও রাজি নয় চাষীরা। ইতিমধ্যেই পাঁচদফা আলোচনা হয়েছে চাষী ও কেন্দ্রের মধ্যে। কিন্তু কোনও সমাধানসূত্র এখনো অধরা।