অন্য রাজনৈতিক দলরা যখন চিনকে সমুচিত শাস্তি দেওয়ার কথা বলছেন, তখন শান্তির পাঠ পড়ালেন দেশি কমরেডরা। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সর্বদলীয় সভায় সেই মার্কিনী জুজু ও পুরনো বোঝাপড়া সম্মানের কথাই বললেন শীর্ষ বাম নেতারা।
সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন যে কার্গিলের পর যেমন একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল সম্ভাব্য গোয়েন্দা ব্যর্থতার বিষয়টি খতিয়ে দেখা নিয়ে, তেমন কিছু কি হবে গালওয়ান সংঘর্ষ নিয়ে।
ইয়েচুরি বলেন অনেক প্রশ্ন উঠছে। জওয়ানদের প্রাণ বাঁচানো যেত কি না, সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। দ্রুত প্রকৃত সীমান্ত রেখা ঠিক করে তৈরী করা উচিত যাতে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় থাকে বর্ডারে। ১৯৫৪ সালের পঞ্চশীল বোঝাপড়া মানতেও সরকারকে আর্জি জানান তিনি, সূত্রের খবর।
ইয়েচুরি বলেন সরকারের এখনই উচ্চ পর্যায় বৈঠক করা উচিত সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য।
অন্যদিকে ডি রাজা, সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক বলেন যে সীমান্তে স্ট্যাটাস ক্যু বজায় রাখা দরকার। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত স্তরে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলা উচিত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য বলে জানান তিনি। নিরাপত্তা ও বিদেশনীতির ক্ষেত্রে জাতীয় সহমতের ভিত্তিতে কাজ করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
ভারতের অখণ্ডতার বিষয় কোনও কম্প্রোমাইজ করা যাবে না বলেও দাবি করেন ডি রাজা। তিনি বলেন এপ্রিলের আগে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার যা অবস্থান ছিল, সেটি ফিরিয়ে আনতে হবে। পড়শি দেশগুলির জন্য একটি নীতি রূপায়ণ করতেও সরকারকে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি বলেন চিনের সঙ্গে বৈরিতার সুযোগ নিয়ে আমেরিকা যেন বেশি কাছে ঘেঁষতে না পারে।
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর চিন সীমান্ত অতিক্রম করেনি বক্তব্য নিয়ে মোদীকে একহাত নেন দুই নেতাই। পিএমও স্পষ্টীকরণ দিলেও তাতে উত্তরের চেয়ে প্রশ্ন বেশি থেকে যাচ্ছে বলে তাঁদের মতামত। এতে আলোচনার টেবিলে ভারতের অবস্থান দুর্বল হয়ে যাবে বলে মনে করেন বাম নেতারা।