গত ২৪ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীর সংক্রান্ত অতি গুরুত্বপূর্ণ সর্বদল বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকে নিজের বাবা ফারক আবদুল্লাহর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ। সেই বৈঠকে কতটা মেরামতি করা গেল কেন্দ্র-কাশ্মীরের সম্পর্ক। তা নিয়েই হিন্দুস্তান টাইমসের মুখোমুখি হন ওমর। সেখানে ওমর জানান, নিশ্চিত ভাবে কাশ্মীর এবং কেন্দ্রের মাঝে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এই সমস্যা মেটাতে হবে। তবে এর দায় কেন্দ্রের ঘাড়েই চাপান তিনি।
ওমর আবদুল্লাহ বলেন, 'এটা স্পষ্ট যে দূরত্ তৈরি হয়েছে। এটা প্রধানমন্ত্রী মোদী তখন মেনে নেন যখন তিনি বলেন, মনের দূরত্ব এবং দিল্লি থেকে দূরত্ব মেটাতে হবে। এর অর্থ স্পষ্ট যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। বর্তমানে হৃদয় এবং মনের মিল নেই। বিশ্বাসের অভাব রয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে। এই সমস্যা মেটাতে হবে। এটা সূচনা মাত্র। এক বৈঠকে সব সমস্যার সমাধান হয় না। এটা লম্বা প্রক্রিয়া।'
ওমর জানান, কেন্দ্র এবং জম্মু ও কাশ্মীরের মধ্যে সম্পর্কে আস্থা ভেঙে গিয়েছে। তার পুনর্স্থাপন কেন্দ্রের দায়িত্ব। কেন্দ্র এবং জম্মু ও কাশ্মীরের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক করতে মোদির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। একটাই বৈঠকে সম্পর্ক ঠিক হয়ে যাবে ভাবাটা ঠিক নয়। এমন বৈঠক আরও হওয়া উচিত। তাঁর দাবি, জম্মু ও কাশ্মীরকে সম্পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া উচিত। শুধু জম্মু ও কাশ্মীরের উপর যে ডিলিমিটেশন আরোপ করা হয়েছে। আমরা আগেও বলেছি এই ধরনের ডিলিমিটেশনের কোনও দরকার নেই।
এদিন ওমর আরও বলেন, 'গোলাম নবি আজাদ আমাদের সবার হয়ে সেদিন বৈঠকে দাবি জানান যে আগে রাজ্যের মর্যাদা ফেরাতে হবে। জম্মু ও কাশ্মীরের জন্যে আলাদা মানদণ্ড কেন থাকবে? বাকি দেশে ২০২০-২১ সালের জনগণনা অনুযায়ী ডিলিমিটেশন হবে। তবে জম্মু ও কাশ্মীরের ক্ষেত্রে কেন ২০১০-১১ সালের নিরিখে ডিলিমিটেশন হবে? অসমেও বিধানসভা নির্বাচনের আগে ডিলিমেটশন আটকে দেওয়া হয়েছিল। তাহলে এখদেশে আপনি দুটি পৃথক ব্যবস্থা রাখতে পারেন না।'
তিনি এদিন দাবি করেন, যতদিন জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল থাকবে, ততদিন তিনি নির্বাচনে লড়বেন না। পাশাপাশি তিনি বলেন, '৩৭০ ধারার ইস্যুটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সঙ্ঘ পরিবার বলে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের জন্য তাঁরা ৭০ বছর লড়াই করেছেন। আমরাও এটা ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াই জারি রাখব। তা সে ৭০ সপ্তাহ, ৭০ মাস বা ৭০ বছরের সংগ্রাম হতে পারে।'