প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে দেখা করেছিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। জানিয়েছিলেন, আগামিদিনে নির্বাচনে একসঙ্গে লড়াই করবে শাসক জোট। তাতেই রীতিমতো ফোঁস করে ওঠে কংগ্রেস। এবার সেই রেশ ধরে মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, আগামী সব নির্বাচনে একাই লড়াই করবে হাত শিবির।
মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি নানা পাতোলে বলেন, ‘আগেই ঘোষণা করেছি যে আগামী সমস্ত স্থানীয় স্তরের নির্বাচনে আমরা একাই লড়াই করব। যা সম্ভবত আগামী নভেম্বরে হবে। তারপর বিধানসভা নির্বাচনেও একাই লড়াই করা হবে। আমরা জোটসঙ্গীদের অন্ধকারে রেখে ভোটের আগে মুখ ফিরিয়ে নিতে চাই না। আমরা এককভাবে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ওরাও সেই পথে যেতে পারে। ২০২৪ সালের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস সবথেকে বড় দল হবে।’
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কংগ্রেস ধুঁকলেও মহারাষ্ট্রের হাত শিবিরের ধারণা, পুরসভার মতো স্থানীয় স্তরের নির্বাচনে এককভাবে লড়াই করলে লাভবান হওয়া যাবে। প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি আরিফ নাসিম বলেন, ‘তার ফলে দলের হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করা যাবে। যখন রাজ্যে এককভাবে সরকার গঠন করত কংগ্রেস। পাতোলে যে বিবৃতি দিয়েছেন, তা দলের সরকারি অবস্থান।’
গত বৃহ্স্পতিবার এনসিপির ২২ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে পাওয়ার জানিয়েছিলেন, আগামী লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে একসঙ্গে লড়াই করবে কংগ্রেস, শিবসেনা এবং এনসিপি। পরদিনই মুম্বইয়ে পাওয়ারের বাসভবনে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে দেখা করেন এনসিপি সুপ্রিমো এবং অন্যান্য নেতারা। তা নিয়ে রাজ্যে রীতিমতো জল্পনা শুরু হয়। সেই জল্পনায় আরও ঘি ঢালেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা নবাব মালিক। বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় স্তরে বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলিকে একটি শক্তিশালী জোট তৈরি করতে হবে।’ তারপরই কংগ্রেসের তরফে কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়।
তা নিয়ে খোঁচা দিয়ে নবাব বলেন, 'মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা আছে পাতোলের। সেই (উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকেই) সেই মন্তব্য করেছেন।' সঙ্গে যোগ করেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে স্থানীয় স্তরের নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে বা পৃথকভাবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে বিধানসভা বা লোকসভা ভোট নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।