Piyush Goyal:ভারত কি শুধু আইসক্রিম বা চিপস বানাবে? বিতর্কের মাঝে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে সমর্থন উদ্যোগপতিদের

Piyush Goyal:সম্প্রতি ভারতের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। আর এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক হলে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে সমর্থন করেছেন উদ্যোগপতি তথা বোট-র সহ-প্রতিষ্ঠাতা অমন গুপ্তা।

'চিন-সহ অন্যান্য দেশের স্টার্টআপ সংস্থা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে কিন্তু আমাদের দেশ পিছিয়ে রয়েছে।' সম্প্রতি ভারতের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। আর এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক হলে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে সমর্থন করেছেন উদ্যোগপতি তথা বোট-র সহ-প্রতিষ্ঠাতা অমন গুপ্তা।

এক্স পোস্টে অমন গুপ্তা বলেন, 'সরকার প্রতিদিন উদ্যোক্তাদের বড় বড় স্বপ্ন দেখতে বলে না। কিন্তু স্টার্টআপ মহাকুম্ভে ঠিক তাই ঘটেছে। আমি সেখানে ছিলাম। আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পুরো বক্তৃতাটি শুনেছি। মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল উদ্যোগক্তাদের বিরোধী নন। তিনি আমাদের উপর বিশ্বাস করেন। তাঁর বক্তব্য ছিল সহজ: ভারত অনেক দূর এগিয়েছে, কিন্তু বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে...আমাদের আরও উচ্চতায় পৌঁছতে হবে।' পাশাপাশি বাণিজ্য জগৎ-কেন্দ্রিক রিয়্যালিটি শো ‘শার্ক ট্যাঙ্ক ইন্ডিয়া’-তে আসা উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে তার পরামর্শও তুলে ধরেছেন তিনি। অমন বলেন, 'শার্ক ট্যাঙ্ক ইন্ডিয়াতে তিনি প্রায়শই বলেন, যদি আপনি একটি বিশ্বমানের পণ্য তৈরি করতে চান, তাহলে আপনাকে প্রতিযোগিতা সম্পর্কে জানতে হবে। এটি ভারতের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।' তিনি আরও বলেন, 'চিন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কারুর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া দুর্বলতা নয়। এটি বুদ্ধিমান কৌশল। আমরা ইতিমধ্যেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম এবং অর্থনীতি।' অমন গুপ্তা আরও জানান, 'কিন্তু আমরা যদি এক নম্বর হতে চাই-তাহলে আমাদের এআই, ডিপটেক, জলবায়ু, গতিশীলতা, পরিকাঠামোর গভীরে যেতে হবে।'

অন্যদিকে আরপিজি গ্রুপের চেয়ারম্যান হর্ষ গোয়েঙ্কা বলেন, 'যদি ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা চিনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে চায়, তাহলে আমরা কেবল আরাম, সুবিধা এবং ব্র্যান্ডের উপর মনোযোগ দিতে পারি না। আমাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা - কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, প্রযুক্তি, রোবটিক্স- এমন ক্ষেত্রগুলি গড়ে তুলতে হবে যা সুচকে এগিয়ে নিয়ে যায়।'

গত বৃহস্পতিবার ‘স্টার্টআপ মহাকুম্ভ’-র মঞ্চ থেকে গোয়েল প্রশ্ন তোলেন, ভারত কি শুধু কম মজুরির চাকরির দিকেই মনোযোগ দেবে, নাকি প্রযুক্তিগত অগ্রগতির লক্ষ্যে এগনোর চেষ্টাও করবে? তিনি বলেন, 'আমরা কি শুধু আইসক্রিম বা চিপস বানাব? দোকানদারি করতেই কি এসেছি আমরা? ভারতের তরুণ প্রজন্ম কি শুধু খাবার সরবরাহকারী হতে চায়, নাকি তারা প্রযুক্তিগত পরিবর্তনেও অংশ নিতে চায়? এটাই কি ভারতের ভবিষ্যৎ? এটাকে স্টার্টআপ বলা যায় না, এটা শুধুই উদ্যোক্তা হওয়া।' পীযূষ গোয়েলের করা ওই বক্তব্য নিয়ে প্রবল বিতর্ক শুরু হয়। বিভিন্ন শিল্পপতি ও স্টার্টআপ উদ্যোক্তারা তাঁর মন্তব্যের বিরোধিতা করতে শুরু করেন। জেপ্টোর সিইও আদিত পালিচা বলেন, 'সরকারকে দেশীয় স্টার্টআপগুলিকে পিছনে না টেনে বরং তাদের উন্নতির জন্য সমর্থন করা উচিত।' ইনফোসিসের প্রাক্তন শীর্ষ কর্মকর্তা মোহনদাস পাইও গোয়েলের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, 'এটা ঠিক নয়। ভারতে ডিপ-টেক স্টার্টআপের বৃদ্ধির জন্য তিনি কী উদ্যোগ নিয়েছেন?'