শিবসেনার উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে গোষ্ঠীর এমপি সঞ্জয় রাউতকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ফোনে মেসেজ করে তাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এনিয়ে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সঞ্জয় রাউত। তিনি জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতেই তিনি এনিয়ে মুম্বই পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছেন। গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম করেই এই খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এদিকে লরেন্স বর্তমানে পঞ্জাব জেলে বন্দি রয়েছেন। তবে সেই ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করেছে। তাকে জেরা করছে পুলিশ।
সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন, ফোনে আমাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমি পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু এই সরকার কোনও বিষয়েই সিরিয়াস নয়। এর আগেও আমাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যের হোম মিনিস্টার সেই সময় বলেছিলেন এসব নাকি স্টান্ট। কী লেখা রয়েছে সেই হুমকি বার্তায়?
সেখানে সঞ্জয় রাউতকে হিন্দু বিরোধী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, দিল্লি মে মিল তু একে ৪৭ সে উড়া দুঙ্গা। লরেন্সকে অউর সে মেসেজ হি সোচ কে, সলমন আউ তু ফিক্স…
তবে সঞ্জয় রাইত জানিয়েছেন, এসব নিয়ে বিশেষ কিছু ভাবি না। আমার সিকিউরিটি যখন তুলে নিয়েছিল তখনও এনিয়ে কিছু বলিনি। পুলিশ জানিয়েছে, সঞ্জয় রাউতের কাছে খুনের হুমকি বার্তা এসেছে। তাকে বলা হয়েছে সিধু মুসেওয়ালার মতো পরিণতি হবে। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং থেকে এই হুমকি বার্তা এসেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। সেখানে লেখা রয়েছে যদি দিল্লিতে দেখা হয় তবে এক ৪৭ দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হবে। তিনি পুলিশের কাছে চিঠি লিখে এনিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন।
এদিকে মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর,এই ঘটনার সঙ্গে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের কোনও যোগ নেই। যে যুবক তাকে মেসেজ করেছিল সে আসলে পুনের বাসিন্দা। মদ খেয়ে সে এসব করেছে বলে জানা গিয়েছে।
মুম্বই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। তার নাম রাহুল তালেকার। তার বয়স ২৩ বছর। সে পুনেতে একটি রেস্তরাঁ চালায়। তার বিরুদ্ধে এর আগে কোনও অপরাধের অভিযোগ নেই। রাজনৈতিক যোগও নেই। আসলে সে প্রথমে রাউতকে ফোন করেছিল। কিন্তু কোনও সাড়া না পেয়ে তাকে মেসেজ করে বসে। সে স্বীকার করেছে, সম্প্রতি সে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভিডিয়ো দেখেছিল। তার জেরেই সে ওই ডনের নাম নিয়ে ফেলে। লরেন্স এর আগে সলমন খানকেও খুনের হুমকি দিয়েছিল বলে অভিযোগ।