কলাইকুণ্ডার বিমানঘাটিতে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনার বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেকারণে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বিজেপি নেতাদের তরফে একের পর এক আক্রমণ ধেয়ে আসতে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার সেই ক্রমেই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে টুইট করলেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
ইয়াস পরবর্তী এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর করা টুইটে জল্পনায় নয়া ইন্ধন জোগালো বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। এই বৈঠকের তালিকায় শুভেন্দু অধিকারির নাম থাকায় মূলত বেঁকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর যুক্তি, কেন্দ্রীয় সরকারের ডাকা বৈঠকে রাজ্যপালের উপস্থিতির তাও যুক্তি আছে, কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী থাকবে কেন? এর পরেই প্রধানমন্ত্রীর ডাকা এই রিভিউ বৈঠকে শুভেন্দুর উপস্থিতিতে অসন্তুষ্ট মমতা এই বৈঠক এড়িয়ে যান।
এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পেট্রালিয়াম মন্ত্রীও। পরে তিনি মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে বৈঠকে তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দেন। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি আক্রমণ শানিয়ে লেখেন, ‘ পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কিত আলোচনা সভায় যা ঘটল, তা মানুষ যে রায় দিয়েছেন, তার সব চেয়ে বড় অপমান হল।’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘ মমতা কি প্রতিবার এ ভাবেই শুভেন্দুকে এড়িয়ে যাবেন?
তিনি আরও লেখেন, ‘ জয় তো ভদ্রতা ও নম্রতা নিয়ে আসে, দুঃখের বিষয় দিদির কাছ থেকে শুধু অহঙ্কারী আচরণ পাওয়া গেল।’
যাঁকে নিয়ে এত ঘটনা সেই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুও এদিনের ঘটনার প্রসঙ্গে টুইট করেছেন। তিনি লেখেন, ‘ ভারতের গণতান্ত্রিক যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর জন্য আজ কালো দিন। যে নীতিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শক্ত হাতে ধরে রেখেছেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও একবার দেখিয়ে দিলেন যে, তিনি রাজ্যবাসীর যন্ত্রণার প্রতি কতটা অসংবেদনশীল।’
শুভেন্দু আরও লিখেন, ‘ আজ মমতা দিদি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যে ধরনের আচরণ করেছেন, তাতে তাঁর স্বৈরাচারী মনোভাব ও সাংবিধানিক মূল্যবোধের অভাব দেখা গিয়েছে।’
মমতাকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু আরও লেখেন, ‘ রাজ্যের উন্নয়নের লক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করার বদলে তিনি সংকীর্ণ রাজনীতির পথ বেছে নিয়েছেন। তাঁর আজকের বৈঠক এড়িয়ে যাওয়া অত্যন্ত নিন্দনীয়।’
মমতা যদিও শনিবার এর পালটা দিয়েছেন। তাঁর সাফ কথা, অন্য রাজ্যে তো বিরোধী দলনেতাদের বৈঠকে ডাকা হয় না। পিএম-সিএম বৈঠককে রাজনৈতিক রং দেওয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।