সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদতের অভিযোগে লস্কর-ই-তৈবা হাফিজ সইদকে পাক আদালত দোষী সাব্যস্ত করলেও কার্যক্ষেত্রে তার বাস্তব প্রভাব নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
সন্ত্রাসে অর্থ সাহায্য করার অপরাধে সঈদকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে পাকিস্তানের আদালত। উল্লেখ্য, আমেরিকার দ্বারা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হাফিজ সইদকে এই প্রথম দোষী সাব্যস্ত করল পাক বিচার ব্যবস্থা।
দুর্নীতি দমন আদালতের বিচারপতি আরশাদ হুসেন ভাট্টা তাঁর রায়ে সঈদকে সাড়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১৫,০০০ টাকা জরিমানাও করেছেন।
তাত্পর্যপূর্ণ ভাবে রায় ঘোষণার ঠিক চার দিন পরেই প্যারিসে ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স-এর (এফএটিএফ) প্লেনারি মিটিংয়ে সন্ত্রাসে অর্থনৈতিক সহায়তা রোখার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে কাটাছেঁড়া হওয়ার কথা। স্বাভাবিক ভাবেই এই সময় নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য মরিয়া চেষ্টা করছে।
ওয়াকিবহাল মহলের ব্যাখ্যা, নিজের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলে সক্রিয় সমস্ত সন্ত্রাসবাদী ব্যক্তি ও সংগঠনের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করে ইসলামাবাদ, সেটাই এখন দেখার।
ঘটনা হল, গত জুলাই মাসে আটক হওয়া লস্কর প্রধান সঈদ নিম্ন আদালতের রায়কে অনায়াসে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন উচ্চতর পাক আদালতে।
এর আগে ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার প্রধান ষড়যন্ত্রী হাফিজ সঈদকে একাধিক বার আটক করেছে পাক প্রশাসন। কিন্তু তাঁকে কখনও দোষী সাব্যস্ত করেনি কোনও আদালত। মুম্বই হামলার অভিযোগ উড়িয়ে উলটে আদালতে বয়ান নথিভুক্ত করেছেন এই সন্ত্রাসবাদী নেতা।