কযেক ঘণ্টার ব্যবধানে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে তালিবানের গলায় শোনা গেল ভিন্ন সুর। তালিবানের মুখপাত্র সুহেল শাহিন দাবি করল, জম্মু ও কাশ্মীরের মুসলিমদের অধিকার নিয়ে কথা বলার অধিকার আছে গোষ্ঠীর। একদিন আগেই অবশ্য আনাস হাক্কানি দাবি করেছিল, কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে নাক গলাবে না তালিবান। তবে বিষয়টি নিয়ে আপাতত ভারতের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
সুহেলকে উদ্ধৃত করে বিবিসি উর্দুর প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে, কোনও দেশের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেওয়ার নীতি নেই তালিবানের। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তালিবানের মধ্যে যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল, তার শর্তের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছে সুহেল। তবে সুহেল জানিয়েছে, কাশ্মীর, ভারত বা অন্য কোনও দেশের মুসলিমদের জন্য কণ্ঠ তুলে ধরবে। তালিবানের মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে বিবিসি উর্দুতে বলা হয়েছে, ‘আমরা গলা তুলে বলব যে মুসলিমরা আপনাদের নিজেদের লোক, নিজেদের নাগরিক। আইনের আওতায় তাঁরাও সমানাধিকার পাওয়ার যোগ্য।’
তালিবানের মুখপাত্রের একেবারে ভিন্ন সুরে শোনা গিয়েছিল হক্কানির গলায়। নিউজ ১৮-এ তালিবানের ১৪ জনের মধ্যস্থতাকারী দলের অন্যতম সদস্য হাক্কানি জানিয়েছিল, আফগানিস্তানের কোনও বিষয় নয় কাশ্মীর ইস্যু। আমাদের স্পষ্ট নীতি আছে, যেটা আমাদের দেশের বিষয় নয়, (সেখানে আমরা নাক গলাব না)। আমরা অন্য দেশের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারি না।' পাশাপাশি লস্কর-ই-তইবা এবং জইশ-ই-মহম্মদের পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলিকে হাক্কানি নেটওয়ার্ক সাহায্য করছে, তা মোটেও ‘সত্যি’ নয়। পুরো বিষয়টিকে নেহাতই ‘প্রোপোগান্ডা’ বলে দাবি করেছিল আনাস হাক্কানি। তার দাবি, গত ২০ বছর ধরে 'তালিবান-বিরোধী' সরকারকে সমর্থন করেছে ভারত। তবে পুরনো ইতিহাস ঘাঁটতে চায় না তালিবান।