তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে চিন। সাম্প্রতিককালে তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন থেকে শুরু করে একাধিক সামরিক প্রদর্শনের মাধ্যমে পরিস্থিতি জটিলও করে তুলেছে বেজিং। দক্ষিণ চিন সাগরে তাই এখন যুদ্ধের পরিস্থিতিতে। আর তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীনতা হারানোর ভয়ে রয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন যে চিনের হাত থেকে তাইওয়ানকে রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর তাঁর দেশ।
সিএনএন টাউনহলের এক অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে চিন যদি তাইওয়ানের উপর আক্রমণ করে, সেই ক্ষেত্রে তাইওয়ানকে সাহায্য করতে আমেরিকা হাত বাড়াবে কি না। এর জবাবে বাইডেন বলেন, 'হ্যাঁ, এটি করার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'
অক্টোবলে প্রায় নিয়মিত ভাবে তাইওয়ানের আকাশসীমায় ঢুকেছে চিনের বিমানবাহিনীর যুদ্ধ বিমান। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলির কাছে সাহায্য চেয়েছিল তাইওয়ান। এর আগে তাইওয়ানের আকাশে চিনের বিমান ঢুকে পড়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন।
এদিকে সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তাইওয়ানের কাছে চিনের পূর্বাঞ্চলের একটি বিমান ঘাঁটিতে অত্যাধুনিক জে-১৬ডি যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে৷ স্বশাসনে থাকা তাইওয়ানকে বরাবর নিজেদেরর অঞ্চল বলে দাবি করে বেজিং। বল প্রয়োগ করে তাইওয়ানকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার বিষয়ে বহু বছর ধরেই চিন্তা ভাবনা করেছে চিন। এই আবহে গতবছর প্রায় প্রতিদিনই তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স জোনে বিমান পাঠিয়েছিল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি পিএলএ। সেই একই অভ্যাস ফের চালু করেছে চিন। তাতেই উদ্বেগ বেড়েছে তাইওয়ানের।