করোনা চিকিত্সায় ব্যবহৃত ম্যালেরিয়ার ওষুধ hydroxychloroquine ও paracetamol রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করল ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বিভিন্ন দেশ hydroxychloroquine ভারত থেকে আমদানি করে। এই সিদ্ধান্তে নিশ্চিত ভাবেই স্বস্তি পাবে সেই দেশগুলি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই বিষয় সম্পর্কে অবহিত কর্তারা জানিয়েছেন যে স্থানীয় চাহিদা মেটোনোর পরেই hydroxychloroquine রফতানি করা হবে। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছেন যে প্রয়োজনীয় পরিমাণে পড়শি দেশদের এই দুটি ড্রাগ দেওয়া হবে। hydroxychloroquine উত্পাদনে বিশ্বের শীর্ষে ভারত। ২৫ মার্চ প্রথমবার hydroxychloroquine বাইরে বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত। এরপর চলতি মাসের চার তারিখ আরও নিয়ম কড়া করা হয়।
কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো মোদীকে ফোন করে hydroxychloroquine বিদেশে বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আর্জি জানান। ভারত কথা না শুনলে, আমেরিকা প্রত্যাঘাত করবে, এই হুঁশিয়ারিও দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ভারত নিষেধাজ্ঞা ওঠালেও বিদেশে ঢালাও ভাবে hydroxychloroquine ও paracetamol পাঠানো হবে না, তা সাফ করে দিয়েছে নিউ দিল্লি।
ঘরোয়া বাজারে যতটা প্রয়োজন সেটা মেটানোর পর যা স্টক থাকবে, সেটা আগে দেওয়ার অর্ডার মোতাবেক পাঠানো হবে, বলেই জানা যাচ্ছে। ডিপার্টমেন্ট অফ ফার্মাসিউটিকালস ঠিক করবে কোন দেশকে কতটা দেওয়া যেতে পারে পরিস্থিতি বিচার করে।
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন প্রতিবেশী রাষ্ট্র যারা ভারতের ওপর paracetamol এবং hydroxychloroquine -এর জন্য নির্ভরশীল, তাদেরকে মানবিকতার খাতিরে পাঠানো হবে এই দুই ড্রাগ। এছাড়াও অন্যান্য দেশ যাদের করোনার জেরে হাল খারাপ, তাদেরও পাঠানো হবে এই ওষুধ দুটি।
প্রায় কুড়িটি দেশ hydroxychloroquine- এর অর্ডার দিয়েছে ভারতের থেকে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র শ্রীবাস্তব বলেন যে সরকারের প্রথম কাজ হল এটা দেখা যে ভারতের নাগরিকরা এই ওষুধগুলি পাচ্ছেন। সেই জন্যেই পুরো রফতানি বন্ধ করে একবার স্টক চেক করা হয়েছে যাতে যে কোনও পরিস্থিতিতে ওষুধ কম না পড়ে। তারপরেই ১৪টি ড্রাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপাতত hydroxychloroquine ব্যবহার করা হচ্ছে করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসা স্বাস্থ্যকর্মী ও বাড়ির লোকদের ওপর। মূলত প্রফিল্যাক্সিস হিসাবে ব্যবহৃত হয় এটি।