এখন সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই দার্জিলিং, সিকিমের তুষারপাতের ছবি। কিন্তু সেই বরফই যদি কলকাতা শহরে পড়ে? হ্যাঁ, সেটা কিন্তু সম্পূর্ণ অসম্ভব ভাবলে ভুল করবেন। ভূতত্ববিদ সুজীব করের ব্যাখ্যা, 'চরম উষ্ণায়নের মধ্যেই হিমায়নের সূচনা হয়। এই একই জিনিস প্রায় ১৩০ কোটি বছর আগে হয়েছিল। আগামিদিনেও এমনটা ফের হতে পারে।'
সুজীববাবুর মতে, জলবায়ু ধীরে ধীরে একটি ক্লোজ সিস্টেমের দিকে এগোচ্ছে। এতদিন যেভাবে জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছিল, সেটা বদলানোর সম্ভাবনা প্রবল। যে হারে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, তাতে আগামিদিনে হিমায়নের সূচনা হতে পারে।
তবে এর মধ্যে স্বস্তির বিষয় একটাই। সেটা হল কলকাতা থেকে বঙ্গোপসাগরের নৈকট্য। বিশেষজ্ঞের মতে, সমুদ্র তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
দার্জিলিং, সান্দাকফুতে এ বছরের তুষারপাতের প্রসঙ্গও টেনে আনেন সুজীব কর। তিনি বলেন, 'এ বছর ওই জায়গাগুলোয় তুষারপাত বেড়েছে। শুধু ওখানেই নয়। মধ্য ভারতে, ঝাড়খন্ড, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশের মতো বেশ কিছু জায়গাতেও বরফ পড়েছে। এমন এমন জায়গায় বরফ পড়ছে, যেখানে আমরা কখনও আগে বরফ পড়তে দেখিনি। আগামিদিনে এই ট্রেন্ড বাড়বে।'
তিনি বলেন, বহু যুগ আগে কলকাতার মতো স্থানেও তুষারপাত হয়েছিল। কোটি কোটি বছর পর সেই সময়টাই ফিরে আসতে চলেছে। তাঁর ধারণা, আগামী ২০-৩০ বছরের মধ্যেই কলকাতা শহরে বরফ পড়তে পারে। এমনকি পুরুলিয়ার মতো স্থানেও হতে পারে তুষারপাত।