'ওকে বিয়ে করবে? সেক্ষেত্রে আমরা সাহায্য করতে পারি। নাহলে আপনি চাকরি খোয়াবে এবং জেলে যাবে। কারণ মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে ধর্ষণ করেছে।' একটি ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তকে এমনটাই বললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে।
অভিযুক্ত মোহিত সুভাষের বিরুদ্ধে গত ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতা। অভিযোগ, ২০১৪ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তাঁকে উত্যক্ত করত মোহিত। ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেল করে ও ভয় দেখিয়ে একাধিকবার নির্যাতন করে অভিযুক্ত। ২০১৯ সালে ১৮ বছর বয়স হওয়ার পরে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা।
মোহিত উচ্চবিত্ত ও সুপরিচিত পরিবারের ছেলে। অন্যদিকে নিম্নবিত্ত পরিবারের ও নাবালিকা হওয়ায় নির্যাতিতার পক্ষে মামলা দায়ের করা সহজ ছিল না বলে জানায় নির্যাতিতা। অভিযুক্ত মোহিত গত বছরের জানুয়ারিতে জলগাঁও সেশনস কোর্টে জামিন পায। নির্যাতিতা সেই জামিনকে চ্যালেঞ্জ করে বম্বে হাইকোর্টের ঔরঙ্গবাদ বেঞ্চ এই বিবেচনার আর্জি জানান। খারিজ হয় অভিযুক্তের জামিন। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয় অভিযুক্ত।
সেই মামলায় শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'বিয়ে করার জন্য জোর করছি না। বিয়ে করবে কিনা, সেটা আমাদের জানানো হোক। নাহলে বলা হবে যে আমরা বিয়ে করার জন্য জোর করছি।' মোহিতের আইনজীবী জানান, নিজের মক্কেলের সঙ্গে কথা বলবেন। পরে মোহিত জানায়, প্রাথমিকভাবে সে বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু নির্যাতিতা রাজি হননি। কিন্তু এখন বিবাহিত হওয়ার আর বিয়ে করতে পারবে না। একইসঙ্গে সে বলে, 'আমি সরকারি চাকুরে। আমি গ্রেফতার হলে আমায় এমনিতেই বরখাস্ত করে দেওয়া হবে।' তাতে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'সেজন্য আমরা তোমায় এই সুযোগ দিয়েছি।' আপাতত চার সপ্তাহের জন্য মোহিতের গ্রেফতারির উপর স্থগিতাদেশ জারি হয়েছে। তারপর সে জামিনের আবেদন করতে পারবে।