উইপ্রো ছাড়ার পরই প্রতিদ্বন্দ্বী কগনিজ্যান্টে যোগ দেন। সেজন্য চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ তুলে প্রাক্তন চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) যতীন দালালের থেকে ২৫ কোটি টাকা চাইছিল উইপ্রো। এখন তাঁর সঙ্গে আদালতের বাইরে একটা চুক্তি করে নিতে চাইছে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। একই কাজ করা হচ্ছে উইপ্রোর প্রাক্তন হেলথকেয়ার বিষয়ক প্রধান মহম্মদ হকের ক্ষেত্রেও। এক সপ্তাহের মধ্যে সেই চুক্তি চূড়ান্ত হয়ে যেতে পারে বলে সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে উইপ্রোর তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, বিষয়টি নিয়ে উইপ্রো এবং কগনিজ্যান্টের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
যতীনের উইপ্রো, কগনিজ্যান্টে যোগ ও আইনি লড়াই
গত বছর সেপ্টেম্বরে উইপ্রোর তরফে জানানো হয়েছিল যে ২১ বছর পরে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ছাড়ছেন যতীন। যিনি ২০১৫ সাল থেকে চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) ছিলেন। তারপর ৩০ নভেম্বর তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। ডিসেম্বর থেকে তিনি উইপ্রোর প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থা কগনিজ্যান্টে যোগ দেন। যে বিষয়ে সেপ্টেম্বরেই ঘোষণা করে দিয়েছিল কগনিজ্যান্ট।
যতীন কগনিজ্যান্টে যোগ দেওয়ার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল উইপ্রো। তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছিল, উইপ্রোতে যেদিন শেষ কাজ করেছেন যতীন, তার ১২ মাসের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিতে যোগ দিয়ে চুক্তিভঙ্গ করেছেন। বেঙ্গালুুরুর আদালতে যতীনের থেকে ২৫ কোটি টাকা চেয়েছিল উইপ্রো। সেই পরিস্থিতিতে বিষয়টি মধ্যস্থতা করার আর্জি জানিয়েছেন যতীন।
মহম্মদের ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ ছিল উইপ্রোর
প্রাক্তন চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) যতীনের মতোই প্রাক্তন হেলথকেয়ার বিষয়ক প্রধান মহম্মদের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলেছিল উইপ্রো। মহম্মদকে যাতে রেহাই না দেওয়া হয়, সেজন্য আমেরিকার আদালতে আর্জি জানিয়েছিল উইপ্রোর আইনি ফার্ম। তাঁর বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। মহম্মদের আর্জি যাতে খারিজ করে দেওয়া হয়, সেই সওয়াল করেছিল উইপ্রোর আইনি ফার্ম।
যদিও আমেরিকার আদালতে মহম্মদ জানিয়েছেন যে তিনি মোটেও কোনও বিশেষ চুক্তি স্বাক্ষর করেননি। যিনি গত বছরের ১ অগস্ট কগনিজ্যান্টে চিফ কমার্শিয়াল অফিসার হিসেবে কাজ শুরু করেন। যে পদে তাঁর অনেক দায়িত্ব আছে। কগনিজ্যান্টের যাতে আয় বাড়ে, সেই দায়িত্বও আছে তাঁর উপর।