কৃষি কাজের দুনিয়া থেকে ইন্টারনেটে একাই কার্যত ঝড় তুলে দিয়েছে ‘আনমোল’। বয়স বেশি নয়, মাত্র ৮। আর এই ৮ বছর বয়সে ১৫০০ কেজির আনমোল এখন শিরোনাম কাড়ছে। ইতিমধ্যেই আনমোলের মূল্য বাজারে ২৩ কোটিতে পৌঁছেছে। হরিয়ানার আনমোলের আরও এক পরিচিতি হল, সে একটি মোষ!
প্রশ্ন উঠতেই পারে, কী অমন রয়েছে আনমোলের মধ্যে যা তাকে এতটা জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে? দেখা যাক, আনমোলের বিশেষত্বগুলি।
মোষ আনমোল তুলেছে ঝড়:-
রাজস্থানের পুষ্করের মেলা হোক, মেরঠে ‘অল ইন্ডিয়া ফারমার্স ফেয়ার’ হোক, কৃষি সংক্রান্ত সমস্ত জমায়েতে গিয়েই লাইমলাইট কেড়ে নিচ্ছে মোষ আনমোল। তাক লাগানো 'লুক' ছাড়াও আনমোলের সিমেনের চাহিদা তুঙ্গে। কারণ, নিজের খাটালে থাকা মোষের ‘ব্রিডিং’ এর জন্য আনমোলের মতো মোষের সিমেনে অনেকেই চাইছেন। কার্যত গবাদিপশুর আঙিনায় দেশে তাবড় কদর রয়েছে এই আনমোলের। হরিয়ানার সিরসার এই মোষের চেহারা তাক লাগিয়েছে অনেককে। অনেকেই এই মোষকে বিলাসী গাড়ি কিম্বা বাড়ির সঙ্গেও তুলনা করছেন।
কতদিন স্নান করে এই মোষ, কী খায়?
একা এই মোষের প্রতিদিনের খাবারের খরচ ১৫০০ টাকা। কার্যত গবাদি পশুর বাজারে এই মোষের ডায়েট, কার্যত তুলকালাম ব্যাপার! প্রতিদিন মোষ আনমোল খায় ২৫০ গ্রাম আমন্ড বাদাম, ৪ কেজি বেদানা, ৩০টি কলা, ২০ টি প্রোটিন প্যাক ডিম। এছাড়াও সবুজ পশুখাদ্য, সোয়াবিন, ভুট্টা, দেশি ঘি তো রোজের মেনুতে আছেই। প্রতিদিন ২ বার করে স্নান করে আনমোল। আমন্ড আর সরষের তেল মিশিয়ে আনমোলকে স্নান করানো হয়।
'দামি' আনমোল
আনমোলের মা প্রতিদিন ২৫ লিটার দুধ দেয়। আনমোলও সেই প্রজাতির। এছাড়াও তাগড়াই চেহারা, বংশ, সব মিলিয়ে আনমোলের চাহিদা প্রচুর। তবে আনমোলের মালিক তাকে বিক্রি করতে রাজি নন। এদিকে, আনমোলের সিমেনের চাহিদা তুঙ্গে থাকার ফলেও তার দাম মালিকের জন্য লাভের আরেকটি দিক। প্রতি সপ্তাহে ২ বার এই সিমেন সংগ্রহ হয়। প্রতি বারের দাম ২৫০ টাকা। শুধু এই দিয়েই মাসে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা রোজগার হয় আনমোলের মালিকের।