সারাদেশে যেখানে করোনার কেস কমছে, সেখানে দিল্লির গ্রাফটা উর্ধ্বমুখী। পরিস্থিতি অভুতপূর্ব বলে জানিয়েছে নীতি আয়োগ। লকডাউন আরোপ না করলেও ফের আগের কিছু কড়াকড়ি ফেরাচ্ছে দিল্লি সরকার। মঙ্গলবার সেই সংক্রান্ত ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে আগে বিয়েবাড়িতে ২০০ জন আসার অনুমতি দিলেও সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হচ্ছে। সর্বোচ্চ ৫০জনের বেশি তাঁরা অনুমতি দেবেন না। তবে এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিতে হবে দিল্লির এলজি অনিল বাইজলকে।
বাজারে কোভিড সংক্রান্ত নিয়ম মানা হচ্ছে না ও সেখান থেকে দ্রুত করোনা ছড়াচ্ছে বলে জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। সেই জন্যই অস্থায়ী ভাবে বাজার বন্ধ করার জন্য কেন্দ্রকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানান অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে দিওয়ালির সময় দেখা গেল অনেকে মাস্ক না পরে, সামাজিক দূরত্ব না মেনে বাজার করছেন। এর জেরেই কেসের সংখ্যা বাড়ছে বলে তাঁর অভিমত। বাজারে এখন হয়তো ভিড় কমবে, কিন্তু সতর্কতার খাতিরে যে সব স্থানে কোনও নিয়ম মানা হয়নি, সেগুলিকে বন্ধ রাখার আর্জি জানাচ্ছে আপ সরকার। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী এরকম নিষেধাজ্ঞা জারি করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি চাই।
তবে এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসা করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেন যে কেন্দ্র ৭৫০ আইসিইউ বেড দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। এর জন্য কেন্দ্রকে ধন্যবাদ। দিল্লিতে করোনার জন্য শয্যা পর্যাপ্ত আছে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন। তবে সরকারি তথ্য অনুযায়ী সরকারি ও বেসরকারি ৩৫৬৪টি আইসিইউ বেড আছে কোভিড রোগীদের জন্য। তার মধ্যেে এই মুহূর্তে রোগী আছেন ৩১৪৫টি বেডে।
কেজরিওয়াল বলেন দিল্লি সরকার, কেন্দ্র ও অন্যান্য এজেন্সির সঙ্গে একযোগে কাজ করছে কোভিড পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য। দিল্লিতে এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ কেস ৪০১২৮। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪.৪ লক্ষ মানুষ। করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৭৭১৩ জনের। কিন্তু হালে যেভাবে মৃত্যুর হার বেড়েছে সেটাই চিন্তায় রাখছে প্রশাসনকে। সোমবার ৯৯ জন দিল্লিতে করোনায় মারা গিয়েছেন যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।