চিনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই কোয়াডের বৈঠক হয়েছিল। এবার ভারত এবং আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে যৌথ সামরিক কার্যকলাপ আরও বাড়ানোর উপরে জোর দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জেনারেল লয়েড অস্টিন। একইসঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তথ্য আদান-প্রদান, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম ভারত সফরে এসে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলোচনা করেন অস্টিন। তারপর রাজনাথের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারেন। কূটনৈতিক মহলের মতে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে অস্টিনের সেই সফর থেকেই স্পষ্ট যে নয়াদিল্লিকে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ‘বন্ধু’ হিসেবে দেখছে আমেরিকা। সেই ‘বন্ধুত্বের’ সুর রাজনাথের বিবৃতিতে ফুটে উঠেছে।
অস্টিনের সঙ্গে বৈঠকের পর শনিবার একটি বিবৃতিতে রাজনাথ বলেন, ‘আমরা সামরিক কার্যকলাপ আরও বাড়ানোর উপর বাড়তি জোর দিয়েছে।’ মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে ‘বিস্তারিত এবং ফলপ্রসূ আলোচনার’ জন্য সন্তোষ প্রকাশ করে রাজনাথ বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী সার্বিক কৌশলগত সম্পর্কের যে সম্ভাবনা আছে, তা পূরণের বিষয়ে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’ ভারতের প্রতিরক্ষা খাতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) ক্ষেত্রে যে ‘উদারীকরণ’ করা হয়েছে, মার্কিন উৎপাদনকারী সংস্থাদের তার পূর্ণ সুযোগ নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন রাজনাথ।
বেজিংয়ের উপর চাপ বাড়াতে একাধিক দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক সামরিক মহড়ার পর্যালোচনা করেছেন রাজনাথ এবং অস্টিন। বিবৃতিতে রাজনাথ জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনা, মার্কিন ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড, সেন্ট্রাল কমান্ড এবং আফ্রিকার কমান্ডের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার বাড়ানোর লক্ষ্যও নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উন্নয়ন এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়েও বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ করা হয়েছে।