চিকিৎসকদের সন্দেহ, বিহারের মুজফ্ফরনগরের ওই হাতুড়ে ডাক্তার ৩৭ বছরের এক তরুণীর জরায়ু অপারেট করতে গিয়ে, সরিয়ে দেয় দুটি কিডনি! এই ঘটনা বিহারে সাড়া ফেলে দিয়েছে। উল্লেখ্য, ওই মহিলা প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার আওতাধীন। আপাতত তিনি পটনার ইন্দিরা গান্ধী ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়ান্সেসে ভর্তি। লড়ছেন জীবন, মরণ সংশয় নিয়ে।
পটনার ওই হাসপাতালের সুপারিন্টেডেন্ট মণীশ মণ্ডল বলছেন, 'আপাতত তিনি স্থিতিশীল। রয়েছেন ডায়ালাইসিসে।' তবে হাসপাতালের তরফে সরকারের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে মহিলার চিকিৎসার জন্য ফান্ড চেয়ে পাঠানো হচ্ছে। হাসপাতালের সুপারিন্টেডেন্টই জানিয়েছেন যে, মহিলার দুটি কিডনি বাদ গিয়েছে। চিকিৎসক বলছেন, ওঁর যা মেডিক্যাল পরিস্থিতি, তাতে, কোনও মতেই তাঁর আরও একটি নতুন অপারেশন করে তাঁকে বাঁচানো সম্ভব নয়। কারণ অপারেশনের কাঁচা জায়গা এখনও শুকায়নি। দুষ্টুমি 'আর করব না.. পাক্কা', শিক্ষিকার গলা জড়িয়ে আদুরে আর্জি ছোট্ট পড়ুয়ার!
জানা গিয়েয়েছে, মুজাফ্ফরনগরের একটি ক্লিনিকে ওই হাতুড়ে চিকিৎসকের হাতে তাঁর অপারশেনের পরই তিনি পরদিন ছাড়া পেয়ে যান। এরপর শুরু হয় নতুন করে শারীরিক জটিলতা। শুরু হয় পেটে ব্যথা। তারপরই তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মধ্যে নিয়ে চলে টানাটানি। শেষে ভর্তি হন ইন্দিরা গান্ধী ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়ান্সেসে। অসুস্থ মহিলা পেশায় সবজি বিক্রেতা। তাঁর স্বামী পেশায় মিস্ত্রি। এই বিপুল বিপদের শেষ কোথায় তা ঠাওরাতে পারছে না পরিবার। মহিলার বাবা দাবি করেছে অবিলম্বে দুটি কিডনি যেন বসিয়ে দেওয়া হয়। সঙ্গে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ।