করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতার। তার এক সপ্তাহের মধ্যেই অভিজাত স্কুলকে ১০০ অক্সিজেনযুক্ত শয্যার নিভৃতবাসে পরিণত করল স্কুল কর্তৃপক্ষ। দিল্লির বুকে এই প্রথম কোনও বেসরকারি স্কুলকে করোনা কেয়ার সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। দিল্লির দ্বারকার মাউন্ট কারমেল স্কুলে তাই করা হয়েছে।
স্কুলের ডিন মাইকেল উইলিয়ামস বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমার বাবা ও এই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ভিকে উইলিয়ামস করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন। আর আমার মা করোনার সঙ্গে লড়াই করছেন। এই পরিস্থিতির মধ্যে করোনার রোগীরা যাতে চিকিৎসা পেতে পারেন, সেইজন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অবশ্য এই কাজ একমাস আগেই শুরু করা হয়েছিল। মহামারীর মধ্যে দিল্লিজুড়ে শতাধিক গির্জা কর্তৃপক্ষ রোগীদের সাহায্য করার জন্য স্কুলগুলিকে করোনা কেয়ারে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। করোনাকালে যেহেতু স্কুলগুলো বন্ধ রয়েছে, সেজন্য মাউন্ট কারমেল স্কুলকে এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।’
উলিয়ামস বলেন, ‘আমরা বাবার নামেই এই করোনা কেয়ারের নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদি এই পরীক্ষা সফল হয়, তাহলে আমরা দিল্লির অন্যান্য সংখ্যালঘু স্কুলে এই পরিষেবা চালু করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘ স্বল্প উপসর্গযুক্ত করোনা রোগীদের এখানে ভরতি করা হবে। এখন স্কুলের অডিটোরিয়াম ও ক্লাসঘরে মোট ১০০ টি অক্সিজেন শয্যা রয়েছে। আমাদের অক্সিজেন সিলিন্ডার ও অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে বন্ধুরা আমাদের দু’টি অক্সিজেন জেনারেটর প্ল্যান্ট উপহার দিয়েছে, যা এই সাপ্তাহের ছুটির মধ্যে বসানোর কাজ শেষ হয়ে যাবে। তারপরে আমরা এই সুবিধার জন্য আমাদের নিজস্ব অক্সিজেন তৈরি করতে পরব।’
স্কুল প্রশাসনের সঙ্গে খ্রিস্টান হাসপাতালের ৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবক ও নার্সরা থাকবেন। নার্স—সহ চারজন পূর্ণ সময়ের চিকিৎসক সেখানে ২৪ ঘন্টা থাকবেন। অন্যান্য ডাক্তাররা টেলি-পরামর্শের দেবেন। এই সুবিধাটি শুধুমাত্র হালকা থেকে মাঝারি উপসর্গযুক্ত রোগীদের জন্য হওযার কারণে চিকিৎসকদের খুব কম হস্তক্ষেপ করতে হবে। চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শের জন্য আমরা ভেঙ্কটেশ্বর ও সেন্ট স্টিফেন হাসপাতালের সঙ্গেও চুক্তি করেছি।’