পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসই মূলত দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছে। আর সেই সন্ত্রাস দমন ইস্যুতে এবার 'সাংহাই কোঅপরেশন অর্গানাইজেশন' এর আওতায় অক্টোবরে আয়োজিত হতে চলেছে সন্ত্রাসদমন মহড়া। সেই মহড়ার আয়োজন করছে ভারত। আর তাতে অংশ নিচ্ছে পাকিস্তান। দুই দেশের থিতিয়ে পড়া সম্পর্কের প্রেক্ষপটে এমন এক পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে এশিয়ার কূটনীতিতে বড় ঘটনা।
জানা গিয়েছে, এই প্রথমবার ভারতের বুকে পাকিস্তানি সেনা সন্ত্রাসদমনমূলক মহড়ায় অংশ নিতে চলেছে। যে দুই সেনার মধ্যে সন্ত্রাসকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বহুবার। শহিদ হয়েছেন বহু জওয়ান,সেই দুই সেনাই এবার একসঙ্গে সন্ত্রাস দমন মহড়ায় অংশ নিতে চলেছে। এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অসিম ইফতিকার জানিয়েছেন, এসসিওর 'রিজিওনাল অ্যান্টি টেররিজম স্ট্রাকচার' এর আওতায় অক্টোবরে এমন পদক্ষেপে অংশ নেবে পাকিস্তান। জানা গিয়েছে, ভারতের হরিয়ানার মানেসরে এই মহড়ায় অংশ নেবে পাকিস্তানি ফৌজের একটি অংশ। এছাড়াও ভারতের সঙ্গে এই মহড়ায় অংশ নেবে রাশিয়া, তাজিকিস্তান, কিরঘিজস্তান, কাজাকস্তান,চিন, উজবেকিস্তান, ইরানের সেনা। উল্লেখ্য, এসসিওর ৯ সদস্যের দেশগুলির সেনা এই মহড়ায় অংশ নিতে চলেছে। শহরের মাল্টিপ্লেক্সে প্রথম কবে গিয়েছেন ? '২২এ প্রথম এমন সিনেমা হল পেল কাশ্মীর
উল্লেখ্য, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর যেভাবে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়েছে কিম্বা পূর্বে উরি থেকে পুলওয়ামার ঘটনার পর পাকিস্তান ও ভারতের সম্পর্কে শীতলতা দেখা গিয়েছে, তাতে এই মহড়া বড়সড় কূটনৈতিক পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। সেই জায়গা থেকে ইমরান খানের জমানায় ভারতের সঙ্গে যেভাবে কূটনৈতিক সম্পর্কও পাকিস্তান ছিন্ন করার পথে হেঁটেছে সেই জায়গা থেকে বর্তমানে ইসলামাবাদ এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তা নিঃসন্দেহে বড় ঘটনা।