সময়মতো লকডাউন করায় বড়সড় বিপত্তি এড়ানো গিয়েছে।শনিবার করোনা প্রসঙ্গে এই দাবি করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কর্তা। তাদের হিসাব অনুযায়ী, সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে দেশে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে চার লাখের অধিক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতেন। সেখানে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সাড়ে সাত হাজার মানুষ করোনার কবলে পড়েছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানায় যে কোনও যদি নিষেধাজ্ঞা এবং লকডাউন মানা না হত,তাহলে ৪.২ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হতেন ১৫ এপ্রিলের মধ্যে। শুধু সামাজিক দূরত্ব ইত্যাদি বজায় রাখলে, লকডাউন না করে, তাহলে মধ্য এপ্রিল অবধি ১.২ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হতেন।
তবে এটি মূলত এটি প্রোজেকশন করোনা আক্রান্তের বৃদ্ধির হারের ওপর ভিত্তি করে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।এই হিসাব করে মন্ত্রক দেখাতে চেয়েছে যে আমেরিকা ও ব্রিটেনে যেভাবে সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছিল, প্রাথমিকভাবে লকডাউন না হওয়ায় তাতে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে সংখ্যা।ভারতের ক্ষেত্রে সেই বৃদ্ধির হারটি অনেকটাই স্তিমিত।
প্রধানমন্ত্রী মোদী ১৪ এপ্রিল অবধি দেশব্যাপী তিন সপ্তাহের লকডাউনের ঘোষণা করেছিলেন।কিন্তুএখন মনে হচ্ছে, আরও দুই সপ্তাহ বাড়তে চলেছে লকডাউন।ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কিছু রাজ্যে আরও দুই সপ্তাহ লকডাউন বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছে।