উদ্যোক্তা ও প্রধান বক্তাকে অস্বস্তিতে ফেলে এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসির সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিলেন তরুণী।
বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুতে ওয়াইসির সভায় আচমকা মঞ্চে উঠে পড়েন অমূল্য নামে ওই তরুণী। তারপরে সবাইকে হতভম্ব করে তিনি পাকিস্তানের সমর্থনে স্লোগান দিতে শুরু করেন। ঘটনায় স্পষ্টই অস্বস্তি পড়েছেন কেন্দ্র-বিরোধী সংখ্যালঘু নেতা।
এ দিন ওয়াইসি মঞ্চে ওঠার পরে ‘সংবিধান বাঁচাও’ শীর্ষক ওই সভায় অমূল্যকে ভাষণ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান উদ্যোক্তারা। মাইক হাতে এর পরেই ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিয়ে শ্রোতাদের তাঁর সঙ্গে গলা মেলানোর জন্য আহ্বান জানান তরুণী।
পরিস্থিতি সামলাতে তড়িঘড়ি অমূল্যর হাত থেকে মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি তাঁকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন ওয়াইসি ও তাঁর সহ-নেতারা। কিন্তু তাতেও দমে না গিয়ে ক্রমাগত ওই স্লোগান দিতে থাকেন তরুণী।
বিড়ম্বিত ওয়াইসি ও সঙ্গীদের দেখা যায় ‘আমরা ভারতের পক্ষে’ বলে পালটা স্লোগান দিতে। সব মিলিয়ে মঞ্চের উপরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ আসরে নেমে তরুণীকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে নিয়ে যায়।
এরপরে ভাষণ দিতে এসে ওয়াইসি জানান, তিনি ওই মহিলার সঙ্গে একমত নন। তিনি বলেন, ‘ওই মহিলার সঙ্গে আমার বা আমার দলের কারও যোগাযোগ নেই। আমাদের সঙ্গে ওঁর কোনও সম্পর্ক নেই। উদ্যোক্তাদের ওঁকে এখানে আমন্ত্রণ জানানো উচিত হয়নি। আগে জানলে এখানে আসতাম না। আমরা ভারতের পক্ষে এবং কোনও ভাবেই শত্রু দেশ পাকিস্তানকে সমর্থন করি না। আমাদের গোটা আন্দোলনই ভারতকে রক্ষা করার উদ্দেশে।’
জনতা দল (সেকুলার) নেতা ইমরান পাশার দাবি, সভায় গন্ডগোল তৈরি করার উদ্দেশে প্রতিপক্ষ শিবিরের তরফে সেখানে অমূল্যকে পাঠানো হয়েছিল। তাঁর মতে, সভায় বক্তাদের তালিকায় ওই তরুণীর নাম ছিল না। ঘটনায় পুলিশি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন পাশা।