তাঁকে বিয়ে করার কথা ছিল। আর এই বিয়ে করবে কথা দিয়েই দীর্ঘদিন প্রেম থেকে ঘনিষ্ঠতা সবই ঘটেছিল। কিন্তু এখন প্রেমিক অন্য এক যুবতীকে বিয়ে করতে চায়। আর এটা জানাতে চায় বলেই হোটেলে ডেকে পাঠায় প্রেমিক। সেখানে নির্মম শাস্তি দিলেন প্রেমিকা। তিনি না পেলে তাঁর প্রেমিককে আর কেউ পাবে না। এই কথা শুনিয়েই প্রেমিকের পুরুষাঙ্গ কেটে নিলেন প্রেমিকা বলে অভিযোগ। রবিবার প্রেমিকাকে বিয়ে করতে না চাওয়া নিয়ে বচসা হয়। দু’পক্ষের বচসা চলাকালীন ধারালো বস্তু দিয়ে প্রেমিকের পুরুষাঙ্গ কেটে নেয় ওই প্রেমিকা বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মুজফফ্রনগরে এই রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে যায়। প্রেমিক ভাবতেই পারেনি তাঁর পুরুষাঙ্গ কেটে নেবে প্রেমিকা। আর ঘটনাস্থল থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে রয়েছে থানা। পুলিশ এই খবর পেয়ে ওই হোটেলে ছুটে যান। তারপর ওই যুবককে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জেলা হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে এখনও চিকিৎসা চলছে। তবে ওই প্রেমিকাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আর দফায় দফায জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কারণ এই যুবকের প্রাণ চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটা প্রায় খুনের চেষ্টার সামিল।
আরও পড়ুন: ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সিবিআই নজর, তদন্তে কী উঠে আসছে?
পুলিশের জেরায় ওই যুবতী প্রেমিকা জানান, টানা ৮ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন দু’জন। একই গ্রামের বাসিন্দা তাঁরা। কিন্তু ওই যুবকের বাড়ি থেকে এই সম্পর্কে সম্মতি দেয়নি। তাই ওই প্রেমিক যুবক এই প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে দিয়ে পরিবারের মতে অন্য এক যুবতীকে বিয়ে করতে রাজি হয়। এই নিয়েই দু’জনের মধ্যে বচসা হয়। তারপর তা পুরোপুরি জানাতে হোটেলে ডেকে আনা হয় প্রেমিকাকে। সেখানে এসেও ওই প্রেমিক সহবাস করতে চায় শেষবারের মতো। আর জোর করতে থাকে। তখন বিয়ে না করতে চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে একটা খারাপ কথা বলে। যা সহ্য করতে না পেরেই প্রেমিকা প্রেমিকের পুরুষাঙ্গ কেটে নেয়।
পুলিশের জেরায় ওই যুবতী জানান, এবার হোটেলে এসে শেষবারের মতো সহবাস করতে চায় প্রেমিক। যাতে রাজি ছিলেন না প্রেমিকা। তখন ওই প্রেমিক বলেন, তাঁদের মধ্যে যা ঘটেছে এতদিন তা দুর্ঘটনা বলে ভুলে যেতে। সেখান থেকেই বচসার শুরু। এই হোটেলে প্রেমিকই ডেকে এনেছিল প্রেমিকাকে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সেখানে বিয়ে করতে না চাওয়া নিয়ে বচসা হয়। তার জেরেই ধারালো বস্তু দিয়ে প্রেমিকের পুরুষাঙ্গ কেটে নেয় প্রেমিকা।