বাড়ি কিনেছেন বছরখানেক হয়ে গেল। সেই সময় থেকে একবারও আসবাবপত্র সরাননি জেনিফার লিটল। কিন্তু তাঁর ক্যালিফোর্নিয়ার এই সাদামাঠা বাড়ির খাটের নিচেই যে আস্ত বাঙ্কার থাকবে, তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি জেনিফার।
বেডরুমের সজ্জা একটু বদল করবেন ভেবে আসবাবপত্র এদিক-ওদিক করছিলেন জেনিফার ও তাঁর স্বামী। খাট সরিয়ে কার্পেট তুলতেই মেঝেতে একটি বড় গোল চাকতি লক্ষ্য করেন জেনিফারের স্বামী। দুজনেই সেটি দেখে প্রথমে চমকে যান।
তবে চমক তখনও অনেক বাকি। লোহার চাকতিটা একটু মুছে নিতেই তাঁরা বুঝতে পারেন যে সেটি আসলে একটি ম্যানহোলের মুখ। এরপরেই সেটিকে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন জেনিফারের স্বামী।
যেমন ভাবা তেমন কাজ। ধীরে ধীরে ম্যানহোলের ভারী ঢাকনা টেনে সরান তাঁরা। সরাতেই দুজনেই কিছুক্ষণের জন্য তাজ্জব বনে যান।
দেখা যায় ম্যানহোলের ভিতর লম্বা সুরঙ্গ। মইও রয়েছে। বেশ গভীর। ১০-১৫ ফুট তো হবেই। একটু গড়িমসি করে ফোনের আলো জ্বেলে সেখানে নেমে পড়েন জেনিফারের স্বামী।
মই বেয়ে নিচে নামতে একটু সমস্যা হয়েছিল বটে। মাকড়সার জাল, ধুলো সহ্য করে নিচে নামার পর দেখা যায় একটি ঘর। সেই ঘরের একদিকে আবার আরও একটু ছোট ঘর। গোটা বিষয়টাই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন দম্পতি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিয়ো। অনেকেই এমন সুড়ঙ্গ দেখে অবাক হয়েছেন। কেউ কেউ আবার বলেছেন এটি খুব বিরল ঘটনা নয়। কেন? কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে ঠান্ডা লড়াইয়ের সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বহু বাড়িতেই এ ধরণের বাঙ্কার তৈরি করা হত। বোমারু বিমান হানা থেকে বাঁচতেই তৈরি করা হত সুড়ঙ্গ। সেই সঙ্গে থাকত শুকনো খাবারদাবারের ভাঁড়ার ঘরও। থাকত ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থাও।