সপ্তাহখানেক আগেই সুটকেসের মধ্যে থেকে তাঁর ‘দেহ’ উদ্ধার হয়েছিল। বাড়ির লোকজনও তাঁকে চিহ্নিত করেছিলেন। সোমবার নিজের জেলা আলিগড় থেকেই জীবিত অবস্থায় খোঁজ মিলল ওয়ারিশা নামে ওই যুবতীর (২৪)।
গত ১ জুন বুন্দলশহর জেলার আমির খানের সঙ্গে বিয়ে করেন ওয়ারিশা। এরইমধ্যে গত ২৭ জুলাই গাজিয়াবাদের হজ হাউসের কাছে নিউ হিন্দন বিহার থেকে এক তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। বুন্দলশহরের সিনিয়র পুলিশ সুপার সন্তোষ কুমার সিং জানান, মৃত তরুণীর ছবি দিয়ে তল্লাশি চালানো শুরু করে গাজিয়াবাদ পুলিশ। তারপর পুলিশের দ্বারস্থ হয় ওয়ারিশার পরিবার। মৃতদেহ শনাক্ত করে আলিগড়ে সৎকার দেন ওয়ারিশার দাদা মহম্মদ ইসমাইল এবং মা বুন্দো। তাঁরা অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে ওয়ারিশের উপর অত্যাচার চালাতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মারধর করা হত। অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গত ২৩ জুলাই বিকেলে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন ওয়ারিশ।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৮ জুলাই ওয়ারিশের স্বামী, শ্বশুর মুসলিম খান এবং শাশুড়ি জমীলার বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় এফআইআর দায়ের করে বুন্দলশহর পুলিশ। তাঁদের গ্রেফতারও করা হয়। এরইমধ্যে সোমবার আলিগড়ে ফেরেন ওয়ারিশ। এক মহিলা কনস্টেবলকে জানান, তিনি নয়ডায় গিয়েছিলেন। সেখানে দু'দিন ছিলেন এবং তিনিই ওয়ারিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত তিনজনের বিরুদ্ধে মৃত্যুর ধারা তুলে নেওয়া হলেও পণের দাবিতে অত্যাচারের অভিযোগে বাকি ধারাগুলি থাকবে। সে বিষয়ে আদালতেও জানানো হবে। একইসঙ্গে গাজিয়াবাদ পুলিশকেও বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।
গাজিয়াবাদ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, খুন এবং তথ্যপ্রমাণ লোপাটের মামলা রুজু করে তদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্তে ওই অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ পরিচয় জানা যায়নি। গাজিয়াবাদের সিনিয়র পুলিশ সুপার কালানিধি নৈথানি বলেন, ‘আমাদের আধিকারিকরা মৃত মহিলার ভিসেরা এবং ডিএনএ সংরক্ষণ করে রেখেছেন। যে মহিলার মৃতদেহ সুটকেসের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়েছে, তাঁর পরিচয় জানতে সাহায্য করবে সেটি।’