চোপড়ায় যুগলকে মারধরের ঘটনায় সার্বিকভাবে সামাজিক অবক্ষয় নিয়ে হতাশাপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার রাজ্যসভায় মোদী অভিযোগ করেন যে যখন নিজেদের সহযোগী দলের শাসন করা রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের ঘটনা ঘটে, তখন বিরোধী নেতারা মুখে ‘তালা’ লাগিয়ে বসে থাকেন। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। সেইসঙ্গে চোপড়ার ঘটনায় যেভাবে দু'জনকে মারধর করা হচ্ছিল এবং তারপরেও বাকিরা তাঁদের বাঁচাতে না এসে ভিডিয়ো করছিলেন, তা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেন। তবে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের নাম করেননি মোদী বা তৃণমূলকে সেভাবে আক্রমণ করেননি প্রধানমন্ত্রী।
মোদী ঠিক কী বলেছেন?
রাজ্যসভায় মোদী বলেন, ‘কোনও রাজ্যের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট করে কিছু বলছি না। রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন্যও কিছু বলছি না। কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া পশ্চিমবঙ্গের একটা ভিডিয়ো দেখলাম। একজন মহিলাকে সকলের সামনে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হচ্ছে। বোনটা চিৎকার করছিল। কিন্তু ওখানে দাঁড়িয়ে থাকা কেউ তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। ভিডিয়ো বানাতে ব্যস্ত ছিলেন।’
সন্দেশখালির ঘটনা নিয়েও মুখ খোলেন মোদী
সেইসঙ্গে মোদী জানান, সন্দেশখালিতে যে ঘটনা ঘটেছে, তার ছবি দেখলে শিউরে উঠতে হবে। এর থেকে বড় লজ্জাজনক এবং দুঃখজনক বিষয় কিছু হতে পারে না যে এরকম দুটি ঘটনার ক্ষেত্রে বিরোধী নেতারা নিজেদের মুখে পুরোপুরি ‘তালা’ লাগিয়ে বসেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘যিনি নিজেকে প্রগতিশীল নারী নেতা হিসেবে দাবি করে থাকেন, তিনিও মুখে তালা লাগিয়ে বসে আছেন। দেশ তো যন্ত্রণা পায়, মা-বোনেরা যন্ত্রণাও পান।’
চোপড়ায় কী ঘটেছিল?
রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিয়োয় দেখা যায়, রাস্তার মধ্যে এক তরুণীকে কঞ্চি দিয়ে বেধড়ক মারছেন এক ব্যক্তি। মারধর করা হচ্ছে এক তরুণকেও। অভিযোগ ওঠে, যে ব্যক্তিকে মারতে দেখা গিয়েছে, তিনি তৃণমূল নেতা তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবি।
অভিযোগ, গ্রামে সালিশি সভা বসানো হয়েছিল। সেখানেই মারধর করা হয় যুগলকে। ইতিমধ্যে সেই ঘটনায় তাজিমুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার তাঁকে ইসলামপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। মঙ্গলবার রাতে তাজিমুলের ঘনিষ্ঠ বুধা মহম্মদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।