কেরলে রেললাইন থেকে মহিলা আইবি অফিসারের দেহ উদ্ধারে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে তিরুবনন্তপুরমের চক্কা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মেঘা মধুসূদনম (২৪)। সোমবার চক্কা এলাকা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ দেহটি উদ্ধার করে রেল পুলিশ। তড়িঘড়ি দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। (আরও পড়ুন: ভারতের 'রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফ্ট' হ্যাক করেছে চিন? মুখ খুলল সেনা)
আরও পড়ুন: বিতর্কের আবহে অভ্যুত্থান নিয়ে মুখ খুললেন বাংলাদেশি সেনা প্রধান খোদ, বললেন...
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মেঘা ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি)-তে কর্মরত ছিলেন। তিনি পড়শি জেলা পথনমথিট্টার বাসিন্দা। কর্মসূত্রে আট মাস আগে তিরুবনন্তপুরমে আসেন মেঘা। তিরুবনন্তপুর বিমান বন্দরে ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্তব্যরত ছিলেন তিনি। সোমবার সকাল ৭টা নাগাদ ডিউটি সেরে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। সাড়ে ৯টা নাগাদ পেট্টা ও চক্কার মাঝে রেললাইনে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, তার দেহ রেললাইনে পড়ে থাকার খবর স্থানীয়দের কাছ থেকে পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে পুলিশ এটিকে একটি গুরুতর ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করে তদন্তে নেমেছে।পুনে-কন্যাকুমারী এক্সপ্রেসের লোকো পাইলট জানান, লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই আইবি অফিসার। ট্রেনের ধাক্কায় তিনি পড়ে যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার আগে মেঘাকে রেললাইন ধরে হাঁটতেও দেখা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন-Haryana Murder: স্ত্রীর সঙ্গে ভাড়াটের পরকীয়া! যোগ শিক্ষককে জীবন্ত পুঁতে দিলেন বাড়ির মালিক
রেল পুলিশের তরফে পেট্টা থানায় বিষয়টি জানানো হয়। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলেই মনে করছে তারা। পরিবার সূত্রে খবর, ফরেন্সিক সায়েন্সে গ্র্যাজুয়েট মেঘা শান্ত স্বভাবের। কথা কম বলতেন। কেন এই ঘটনা ঘটাল, বুঝতে পারছে না পরিবারও। মেঘার বাবা আইটিআইয়ের প্রিন্সিপাল, মাও সরকারি কর্মী। মঙ্গলবার শেষকৃত্য হবে তাঁর।মেঘা সম্প্রতি ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোতে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। তার পরিবার ও সহকর্মীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি তিরুবনন্তপুরম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এমিগ্রেশন বিভাগে কাজ করতেন। তার সহকর্মীরা জানিয়েছেন, মেঘা একজন নিষ্ঠাবান ও দায়িত্বশীল কর্মী ছিলেন। তার এইভাবে মৃত্যু কল্পনার বাইরে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে মিলল একটা, দুটো নয়… আরাকান আর্মির ৬০ সেট ইউনিফর্ম,বাংলাদেশে কী হচ্ছে?
মেঘার মৃত্যুর কারণ এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। তিনি কি দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরই জানা যাবে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করছে এবং সাক্ষীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছে। এছাড়া, মেঘার পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, যাতে তার শেষ কয়েক ঘণ্টার গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়।পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা এই ঘটনাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এছাড়া, আমরা সমস্ত সম্ভাব্য দিক থেকে তদন্ত করছি।' তিনি আরও জানান, মেঘার ফোন রেকর্ড এবং তার সাম্প্রতিক কার্যকলাপ পরীক্ষা করে দেখা হবে, যাতে কোনও সূত্র পাওয়া যায় কিনা।