পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে এক মহিলাকে দেওয়া হল কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন। তা নিয়ে আপাতত সুস্থও আছেন তিনি। বিহারের গ্রামীণ পাটনার সেই ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়েছে।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামীণ পাটনার বেলদারিচক স্কুলে টিকা নিতে এসেছিলেন আওয়াধপুর গ্রামের বাসিন্দা সুনীতা দেবী (৬৩)। পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে তাঁকে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট নথিভুক্তিকরণ প্রক্রিয়ার পর প্রথম সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (এসআইআই) টিকা দেন একজন নার্স। তারপর সুনীতাকে অপেক্ষা করতে বলা হয়। কিন্তু ভুলবশত তিনি কোভ্যাক্সিন টিকার লাইনে দাঁড়িয়ে যান। সেখানে তাঁকে ভারত বায়োটেকের টিকা প্রদান করা হয়। ইন্ডিয়া টুডে'তে বৃদ্ধা জানিয়েছেন, দ্বিতীয় নার্সকে কোভিশিল্ডের টিকা নেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু কোভ্যাক্সিন দেওয়ার জন্য জোর করতে থাকেন নার্স। নার্স বলতে থাকেন যে ‘একই হাতে আবারও একটি টিকা দেওয়া হবে।’
আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। একাংশের দাবি, ‘ভুলবশত’ টিকা দেওয়া হয়েছিল সুনীতাকে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত করে একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করা হয়েছে। যে দু'জন নার্স সুনীতাকে টিকা দিয়েছেন, তাঁদের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। সুনীতার দাবি, চূড়ান্ত গাফিলতির জন্য পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে তাঁকে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন দিয়েছেন নার্সরা। তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন সুনীতা।
যদিও টিকাকরণ কেন্দ্রের কর্মীরা পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে তাঁকে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন প্রদানের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মণীশ চৌধুরীর বক্তব্য, প্রথমে ওই বৃদ্ধাকে যখন টিকা দেওয়া হচ্ছিল, তখন রক্ত হচ্ছিল না। তারপর নার্স হাতের অন্যত্র টিকা দেন। তাতেই সুনীতা ভেবেছেন যে তাঁকে দু'বার টিকা দেওয়া হয়েছে। যা মোটেও সত্যি নয়।