স্বামীর সঙ্গে সাংসারিক বিবাদ। এই নিয়ে অশান্তি চরমে উঠলে দুই সন্তানকে সঙ্গে করে সেচের কুয়োয় ঝাঁপ দিলেন গৃহবধূ। তারপরেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। ভাগ্যের ফেরে মা বেঁচে গেলেও দুই সন্তান বাঁচল না। এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলার দেওরি গ্রামে। আঘাত পেয়ে মা বেঁচে গেলেও সন্তানরা মৃত বলেই চিকিৎসকরা ঘোষণা করেছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন গৃহবধূ মমতা দেবী (২৫)। সঙ্গে ছিল দুই খুদে সন্তান। সেচের কুয়োয় মমতা দেবী সন্তানদের নিয়ে ঝাঁপ দেন। স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পেয়ে উদ্ধার করলেও দুই সন্তানকে বাঁচানো যায়নি। গৃহবধূর চোট লেগেছে। তিনি আঘাত পেয়েছেন। পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেছে। দেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্তও শুরু হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল গ্রামে? স্থানীয় সূত্রে খবর, রাত ১টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন গৃহবধূ মমতা। তাঁর সঙ্গে ছিল দু’বছরের ছেলে চিকু আর পাঁচ বছরের মেয়ে সুহানি। তাদেরকে সঙ্গে নিয়েই সেচের কুয়োয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তারপর চিৎকার শুনে লোকজন ছুটে আসেন। সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, গ্রামের মানুষজন এই তিনজনকেই নিয়ে যায় নিকটবর্তী কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে। সেখানে তখন সবাই সংজ্ঞাহীন ছিল বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানিয়ে দেন, দুই শিশু সন্তান মৃত। তবে আঘাত লাগলেও বেঁচে গিয়েছেন গৃহবধূ মমতা দেবী। এই ঘটনায় গোটা দেওরি গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।