আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত কোটিপতি ব্যবসায়ী। আর তাঁর অন্তর্ধানের সঙ্গে জড়িয়ে এক সুন্দরী মহিলার নাম। এ যেন হলিউডের থ্রিলার সিনেমা। মেহুল চোকসির অ্যান্টিগা থেকে উধাও হয়ে হঠাত্ ডোমিনিকায় আবির্ভাবের নেপথ্যে এমনই তত্ত্ব শোনা যাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহলে। সোমবার অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর আইনজীবীও সেই হানি ট্র্যাপের কথাই জানালেন। বেআইনি প্রবেশের কারণে ডোমিনিকায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
সূত্রের খবর, বারবারা জারাবিকা নামের এক সুন্দরীর সঙ্গেই গত ৬ মাস ধরে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে মেহুল চোকসির। বিকিনি-সুন্দরী বারবারার ছবিও ছড়িয়ে পড়েছে অ্যান্টিগার মিডিয়ায়। যদিও সেটিই তাঁর ছবি কিনা, তার কোনও প্রমাণ মেলেনি। পৃথকভাবে সত্যতা যাচাই করতে পারেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাও।
শনিবারই প্রথম এই হানি ট্র্যাপ তত্ত্বের উদ্ভব হয়। আর সেই দাবি করেন অ্যান্টিগুয়ার প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউনি। তিনি দাবি করেন, 'রবিবারই নিজের গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে ডোমিনিকা পালিয়েছেন মেহুল চোকসি।'
আপাতত ডোমিনিকায় জেলে বন্দি রয়েছেন আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী। সেখানেও সঙ্গে 'প্রেমিকা' আছেন কিনা তা জানা যায়নি। ডমিনিকার সরকারের কাছে ইতিমধ্যেই মেহুলকে ভারতের হাতে তুলে দিতে আর্জি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিকে ২০১৮ সালে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ওঠার পর থেকেই পলাতক মেহুল চোকসি। অ্যান্টিগার নাগরিকত্ব নেন। সূত্রের দাবি, ডোমিনিকায় রোম্যান্টিক ট্রিপ-এ গিয়েছিলেন মেহুল চোকসি। হানি ট্র্যাপের ফাঁদে পড়েই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে মনে করছেন অনেকেই।