বাড়িতে প্রেম সম্পর্ক মেনে না নিলে একসঙ্গে জীবন কাটানোর স্বপ্ন নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করার ঘটনা আকছারই শোনা যায়। কিন্তু এবার ইংল্যান্ডে এমন একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এল, যা বাকি সমস্ত ঘটনাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। নিজের প্রেমিকের দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের পর ২৪ বছরের জেস অল্ড্রিজ জানতে পারেন, প্রিয় মানুষটি তাঁর মায়ের সঙ্গেই অ্যাফেয়ারে জড়িয়ে আছেন। শুধু তাই নয়, নিজের জামাইয়ের সঙ্গেই বাড়ি থেকে ৩০ মাইল দূরে সংসার বাঁধছেন জেসের মা। এই ঘটনা জানতে পেরে ভেঙে পড়েছেন জেস।
জেস বিশদে জানান যে, তাঁর দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের আগে মা জর্জিয়া সন্তানের দেখভালের কারণে তাঁদের একসঙ্গে নিজের বাড়িতে থাকার প্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাবে সম্মতি জানান প্রেমিক রেয়ান। ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর জেস বাড়ি এসে জানতে পারেন, তাঁর প্রেমিক রেয়ান ও মা জর্জিয়ার মধ্যে অ্যাফেয়ার চলছিল। শুধু তাই নয়, তাঁরা পালিয়েও গিয়েছেন। সেখান থেকে ৩০ মাইল দূরে একটি বাড়িতে বসবাস করছেন রেয়ান ও জর্জিয়া।
মর্মাহত জেস অল্ড্রিজ ‘দ্য সান’ নামক ইংরেজি ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, তাঁর সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘লোকে প্রত্যাশা করে যে, দিদা তাঁর নাতি-নাতনিকে ভালোবাসা দেবেন। আমার দুই সন্তানের লালন-পালনে সাহায্য করা উচিত ছিল আমার মায়ের। কিন্তু এর পরিবর্তে তিনি আমারই প্রেমিকের সঙ্গে রাত কাটাচ্ছেন।’ উল্লেখ্য, তিন বছর আগে ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল জেস ও রেয়ানের। তারপর থেকেই তাঁরা এক সঙ্গে থাকতে শুরু করেন।
হাউসকিপারের কাজ করেন জেস অল্ড্রিজ। ২০১৯ সালে নিজের প্রথম সন্তান প্রসব করেন তিনি। তাঁর দাবি, রেয়ানের সঙ্গে মায়ের বাড়িতে থাকতে আসার পর থেকেই জর্জিয়া তাঁর জামাইয়ের সঙ্গে ফ্লার্ট করা শুরু করেন। দু'জনে প্রায়ই একে অপরের সঙ্গে ফ্লার্ট করতেন। শাশুড়ি ও জামাই মিলে রোজ রাতে রান্নাঘরের পাশে বসে একসঙ্গে মদ খেতেন ও হাসিঠাট্টা করতেন। তিনি বলেন, ‘আমি ভেঙে পড়েছি। নিজের মা ও সন্তানদের বাবাকে আমি হারিয়ে ফেললাম।’
জেসের দাবি, তিনি যখন অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন, তখন থেকেই মা ও তাঁর প্রেমিকের মধ্যে অ্যাফেয়ারের সূত্রপাত। পুত্রসন্তান জন্মের কিছুক্ষণ পরই রেয়ানের তরফে একটি মেসেজ পান তিনি। সেই মেসেজে সম্পর্ক ভাঙার কথা জানিয়েছিল সে। এরপর কোলে নবজাতককে নিয়ে জেস বাড়ি ফিরে দেখেন, 'রেয়ান ও তাঁর মা বাড়িতে নেই। বর্তমানে তাঁরা দুই কামরার ভাড়া বাড়িতে থাকেন।'