সামাজিক উপাচার মেনে বিয়ের সব আয়োজন সাড়া হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বিয়ের দিন এলেন না বর। সেইসঙ্গে বরযাত্রীও আসেনি। কিন্তু এতে দমে যাননি তরুণী। মা'কে নিয়ে সটান হাজির হয়ে যান ছেলের বাড়িতে। ছেলের বাড়ির সামনে ধরনায় বসে পড়েন তিনি। জানান, স্ত্রী'র মর্যাদা নিয়েই ছাড়বেন। ঘটনাটি ওড়িশায় বহরমপুরের।
জানা যায়, ওই তরুণীর সঙ্গে আইনিভাবে সুমিত সাহু নামে এক যুবকের বিয়ে অনেকদিন আগেই হয়ে গিয়েছিল। তবে সামাজিকভাবে বিয়ের আচার অনুষ্ঠান বাকি ছিল। সেইমতো যাবতীয় প্রস্তুতিও করে মেয়ের বাড়ির লোকেরা। কিন্তু বিয়ের দিন দেখা যায় বর আসেননি। পাত্রপক্ষ কেউ হাজির হননি। বার বার ফোন করা হয়। মেসেজেও যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু কোনও কিছুতেই ছেলের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি তরুণীর পরিবার। এরপরই তরুণী স্থির করেন, সময় নষ্ট করবেন না। মাথায় সিঁদুর পরেই মা'কে নিয়ে সোজা চলে যান সুমিতের বাড়ি। এরপর বাড়ির সামনেই ধরনায় বসে পড়েন।
এই প্রসঙ্গে তরুণী জানান, ‘গত বছর ৭ সেপ্টেম্বর আমরা রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করি। আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রথম থেকেই আমার উপর অত্যাচার করত। আমাকে ঘরে আটকেও রাখত। প্রথমদিকে স্বামী আমাকে সমর্থন করলেও পরে বাড়ির লোকজনদের কথাই শুনতে শুরু করে। এরপর পুলিশের কাছে অভিযোগও জানাই। এতকিছুর পর শ্বশুরমশাই নিজেই একদিন এসে জানান, তাঁরা সমস্ত তিক্ততা ভুলে নতুন করে শুরু করতে চান। সামাজিক বিবাহের কথাও তোলেন।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, সোমবার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পাত্রপক্ষ কেউই হাজির হয়নি।
বহরমপুরের পুলিশ সুপার পিনাক মিশ্র জানান, কিছুদিন আগে মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই তরুণী। ছেলের বাড়ির তরফেও মেয়ের বাড়ির নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন।