প্রাক্তন সহপাঠির হাতে মোট ৩০ বার ছুরিকাহত হয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছেন গুরুগ্রামবাসী যুবতী। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ঘাতক যুবককে।
মঙ্গলবার দিল্লিতে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করে রাত ৯.৩০ নাগাদ স্বামীকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পরেই আততায়ীর আক্রমণের মুখে পড়েন গুরুগ্রাম সেক্টর ৩০ এর বাসিন্দা ওই যুবতী। পকেট-ছুরি দিয়ে তাঁর কান, গলা, বুক ও পেটে বার বার কোপ বসায় একদা সহপাঠি যুবক। রক্তাক্ত যুবতীকে দ্রুত এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে। চিকিৎসকরা তাঁর দেহে রাতেই জরুরি অস্ত্রোপচার করেন। বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত বিবেক কোন্ডালকে। তাকে বুধবার আদালতে পেশ করা হলে জামিনে মুক্তি দেন বিচারক।
পুলিশ জানিয়েছে, রাতে মোটরবাইক চেপে প্রাক্তন সহপাঠির বাড়িতে হাজির হয়েছিল বিবেক। যুবতীর শ্বশুর-শাশুড়ি দরজা খুললে জরুরি কথা বলার অছিলায় তাঁকে সে ডেকে পাঠায়। যুবতী দরজায় উপস্থিত হতেই পকেট থেকে ছুরি বের করে সে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
পুত্রবধূকে বাঁচানোর চেষ্টা করে আহত হন যুবতীর শ্বশুরও। তবে তাঁর চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে কোন্ডালকে ধরে ফেলেন। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় যুবতীর স্বামী স্নান করতে শৌচাগারে ঢুকেছিলেন।
পুলিশ কমিশনার কে কে রাও জানিয়েছেন, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এক কলেজে ওই যুবতীর সঙ্গে একই ক্লাসে পড়ত কোন্ডাল। সেই সময় থেকেই সহপাঠিকে সে অনুসরণ করত। যুবতী তাকে পছন্দ করে ভেবে গত ডিসেম্বর মাসে তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় বলে কবুল করেছে কোন্ডাল। কিন্তু তাতে সাড়া না দিয়ে হেসে উড়িয়ে দেন যুবতী। উলটে তাকে নিয়ে তিনি মজা করেন বলেও দাবি অভিযুক্তের। গত ফেব্রুয়ারি মাসে গুরুগ্রামের এক পাত্রের সঙ্গে বিয়ে করার পর থেকেই প্রাক্তন সহপাঠির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার ছক কষে কোন্ডাল।
স্নাতকোত্তর কোর্সের ছাত্র কোন্ডালের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।