দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা অভিযোগ তুলে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন এক মহিলা। পেগাসাসের মাধ্যমে সেই মহিলার ফোনও হ্যাক করা হয়ে থাকতে পারে বলে জানা গিয়েছে। দ্য ওয়ারের প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, অভিযোগকারিণী ছাড়াও তাঁর পরিবারের ১১ জনের ফোন নম্বর পেগাসাসের নিশানায় থেকে থাকতে পারে বলে খবর। জানা গিয়েছে হ্যাক করা হয়ে থাকতে পারে অভিযোগকারি মহিলার ৩টি নম্বর, স্বামীর ৫টি এবং বাকি ৩টি সেই মহিলার দুই দেওরের।
২০১৯ সালে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে। এর পরে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগের তদন্ত বন্ধ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়ে থাকতে পারে। এরপর রঞ্জন গগৈ রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন।
এদিকে পেগাসাস নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, দু'জন মন্ত্রী, চল্লিশ জনেরও বেশি সাংবাদিক, তিন বিরোধী নেতা সহ ৩০০টিরও বেশি মোবাইল ফোন নম্বর হ্যাক করার চেষ্টা করা হয়েছিল পেগাসাসের মাধ্যমে। রিপোর্টে বলা হয়, শুধু সরকারি সংস্থাগুলির কাছে বিক্রি হয় ইজরায়েলি স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে এই ফোন নম্বরগুলি হ্যাক করার সম্ভাবনার কথা সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। অবশ্য সরকারি তরফে এমন কোনও প্রকার নজরদারির কথা অস্বীকার করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই রিপোর্টে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ নেই। পাশাপাশি, দেশের নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তার অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসাবে গণ্য করা হয় ভারতীয় গণতন্ত্রে।