নিজের জীবনটাকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। বিষ খেয়েছিলেন এক মহিলা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি প্রাণে বেঁচে যান। তারপর সেই মহিলাকে কেরলের ত্রিশূরে এক হাসপাতাল থেকে অপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, হাসপাতালের এক স্টাফ ওই অসুস্থ মহিলাকে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।
ওই মহিলাকে প্রথমে কোদুনগালুর তালুক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ার জেরে তাকে ৫০ কিমি দূরে ত্রিশূর সরকারি হাসপাতালে রেফার করা হয়। এদিকে কে দয়ালাল নামে এক ঠিকা কর্মীকে বলা হয়েছিল তিনি মহিলাকে নিয়ে মেডিক্যাল কলেজে যাবেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি মহিলাকে অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যেই যৌন নির্যাতন করেন।
এদিকে ওই মহিলার মেডিক্যাল কলেজের নার্সকে জানান অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়ে আসার সময় আমাকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। এরপরই নার্স পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ জানিয়েছেন, হাসপাতালের সুপারের কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। দয়ালালকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে ২০২০ সালে কেরলের কোট্টায়াম জেলায় এক অ্যাম্বুল্যান্স চালক একজন কোভিড রোগীকে মাঝপথেই ধর্ষণ করেছিলেন বলে অভিযোগ। এরপরই নির্দেশ জারি করা হয়েছিল, অ্যাম্বুল্যান্সে একলা ছাড়া যাবে না। সঙ্গে হাসপাতালের কাউকে যেতে হবে। কিন্তু সেখানেও এবার বড় বিপত্তি। অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যেই শ্লীলতাহানির অভিযোগ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে ওই ব্যক্তি হাসপাতালে ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করতেন। তাকেই রোগীর সঙ্গে পাঠানো হয়েছিল। রোগীর যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয় সেটা দেখার জন্যই তাকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু যার উপর রক্ষা করা ভার ছিল তিনি এই ভয়াবহ কাজ করেছেন বলে অভিযোগ। একজন অসুস্থ মানুষ যার প্রতিরোধ করার শক্তি নেই তার উপর পাশবিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে।
তবে এই ঘটনায় অ্য়াম্বুল্যান্স চালকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই ঠিকা কর্মীকে গ্রেফতার করে মেডিক্যাল কলেজ পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। তারা এনিয়ে তদন্ত করে দেখছে। কেন সে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে সেটা দেখা হচ্ছে। ওই অসুস্থ মহিলার সঙ্গেও কথা বলে পুলিশ ঘটনার ব্যাপারে জানার চেষ্টা করছে। এই ঘটনার জেরে কেরলে স্বাস্থ্য দফতরের অন্দরেও হইচই পড়ে গিয়েছে। মহিলার সঙ্গে কেন কোনও মহিলা স্টাফকে পাঠানো হয়নি তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।