সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন হরিয়ানার তোশামের বিধায়ক কিরণ চৌধুরী। তাঁকে নিশানা করতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন হিসারের কংগ্রেস সাংসদ জয়প্রকাশ (জেপি)। তিনি বলেছেন, ‘পুরুষতান্ত্রিক সমাজে মহিলাদের উত্তরাধিকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয় না।’ তাঁর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। অন্যদিকে, নাম না করে সম্প্রতি কংগ্রেসের যোগ দেওয়া প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বীরেন্দ্র সিংকেও আক্রমণ করেছেন জয়প্রকাশ।
আরও পড়ুন: কেন সবসময় সাদা টি-শার্ট পরেন রাহুল গান্ধী? রহস্য ফাঁস করলেন কংগ্রেস সাংসদ
হিসার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জিন্দ জেলার একটি ধর্মশালায় শুক্রবার কংগ্রেস কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে মহিলাদের উত্তরাধিকারী হিসাবে বিবেচনা করা হয় না। এই দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত করে যে উত্তরাধিকার বা উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র পুরুষরাই বৈধ অধিকারী।’ এরপরেই কিরণকে নিশানা করে জয়প্রকাশ বলেন, ‘তিনি (কিরণ) প্রাক্তন ও প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী বংশী লালের পুত্রবধূ হলেও উত্তরাধিকারী নন। কারণ তাঁর (বংশী লালের) উত্তরাধিকারী হলেন তাঁর ছেলে রণবীর সিং মহেন্দ্র এবং পৌত্র অনিরুদ্ধ চৌধুরী, যারা বর্তমানে কংগ্রেস দলে আছেন। আমাদের সমাজে উত্তরাধিকার পুরুষদের দ্বারা পরিচালিত হয়।’
জয়প্রকাশ আরও যোগ করেন, যে কিরণ চৌধুরী যদি লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস ছাড়তেন তাহলে রাজ্যটিতে কংগ্রেসের ফল আরও ভালো হতো। কারণ তিনি এবং অন্যান্য নেতারা আড়ালে থেকে লোকসভায় বিজেপির জন্য কাজ করছিলেন। তাঁরা দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
অন্যদিকে, সম্প্রতি বীরেন্দ্র সিং এবং তাঁর ছেলে ব্রিজেন্দ্র সিং কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের পরোক্ষভাবে আক্রমণ করে জয়প্রকাশ বলেন, ‘আমি এই অংশ থেকে কোনও চৌধুরীর নামে ভোট পাইনি। তবে লোকেরা আমাকে সমর্থন করলেও কিছু নেতা আমার পিঠে ছুরি মেরেছিল। বীরেন্দ্র সিং এখন বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছেন। তাই আমাদের তাঁকে সম্মান করা উচিত।’ প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেন কিরণ চৌধুরী এরপর বুধবার মেয়ে শ্রুতি চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। কিরণের সঙ্গে দলের বহু নেতা কর্মীও বিজেপিতে যোগ দেন।