তালিবানের দখলে চলে গিয়েছে আফগানিস্তান। এদিকে সেই আফগানিস্তানে মহিলাদের পরিস্থিতি কী হবে সেদিকে নজর গোটা বিশ্বের। এসবের মধ্যেই শুক্রবার নয়া ডিক্রি জারি করেছে তালিবান সরকার। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, মহিলাদের সম্পত্তি হিসাবে গণ্য করবেন না। বিবাহের সময় তাদেরও সম্মতি নেবেন। নারীদের অধিকার সম্পর্কিত নির্দেশ জারির সময় একথা উল্লেখ করেছে তালিবান সরকার। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, আফগান নারীদের সার্বিক শিক্ষাদান করার ব্যাপারে গোটা বিশ্বের তরফে আবেদন করা হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে অবশ্য বিশেষ কিছু উল্লেখ করা নেই এদিনের নির্দেশে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, তালিবানের ডিক্রিতে উল্লেখ করা হয়েছে, একজন নারী কারোর সম্পত্তি নয়। নারী একজন মহিয়সী ও মুক্ত মানুষ। শান্তির বিনিময়ে কেউ তাকে অন্যের হাতে তুলে দিতে পারবেন না। তালিবান মুখপাত্র জাবিহিল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, বিয়ের জন্য নারীদের জোর করা যাবে না। প্রয়াত স্বামীর সম্পত্তিতে বিধবা নারীর অধিকার থাকবে। আদালতকেও সেই সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।
এদিকে ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত তালিবান জানিয়েছিল কোনও পুরুষ আত্মীয় ছাড়া মহিলারা বাইরে বেরতে পারবেন না। মুখ, মাথা ঢাকা রাখতেই হবে। তবে এবার হাইস্কুলে মেয়েদের পড়াশোনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তালিবানের এই ডিক্রি কতটা বাস্তবে প্রয়োগ হবে, কতটা মুক্তি পাবেন নারীরা, পড়াশোনার সুযোগ আদৌ পাবেন কি না তানিয়ে সংশয়টা থেকেই গিয়েছে।