লোকাল ট্রেনে লেডিস কামরায় বসার জায়গা নিয়ে ঝামেলা গড়াল হাতাহাতিতে। চলন্ত ট্রেনেই রীতিমতো চুলোচুলি হয়। মহিলাদের ঝামেলা থামাতে গিয়ে রক্ত ঝরে জিআরপি কনস্টেবলের। থানের সেই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে এক তরুণীকে।
গত বুধবার সন্ধ্যা ৭ টা ৩০ মিনিট নাগাদ মেয়ে অঞ্জু (২৭) এবং নাতনির (১০) সঙ্গে থানে থেকে লোকাল ট্রেনে ওঠেন তালোজার বাসিন্দা গুলনাথ জুবারে খান (৫০)। কোপারখাইরানে স্টেশন থেকে ওই ট্রেনেই ওঠেন স্নেহা দেবড়ে (৩০)। তারপর একটি আসন খালি হলে সেখানে বসে পড়েন ওই মহিলা।
কেন সেই মহিলা সিটে বসবেন, তা নিয়েই বচসা শুরু করেন গুলনাথ এবং অঞ্জু। তাঁরা দাবি করেন, বাচ্চা মেয়েকে বসতে না দিয়ে সিট ‘হাইজ্যাক’ করে নিয়েছেন স্নেহা। তা নিয়ে তর্কাতর্কি শুরু হয়। যা হাতাহাতিতে গড়ায়। ভাসি জিআরপির সিনিয়র পুলিশ ইনস্পেকটর সোম্বাজি কাটারে জানান, স্নেহার চুল ধরে টানতে থাকেন অঞ্জুরা। তাঁকে লাগাতার ঘুষি মারতে থাকেন। সহযাত্রীরা তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।
আরও পড়ুন: Abhisekh Bachchan: অমিতাভকে নিয়ে রসিকতা! কমেডিয়ানের উপর রেগে লাল পুত্র অভিষেক,বেরিয়ে গেলেন শো ছেড়ে
তারইমধ্যে নেরুলে পৌঁছে যায় ট্রেন। সেখানে এক যাত্রী জিআরপিকে খবর দেন। ট্রেনে উঠে পড়েন জিআরপির মহিলা কনস্টেবল শারদা উঘলে। প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি আয়ত্তে নিয়ে আসেন তিনি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর ফের মারামারি শুরু করেন অঞ্জুরা। সেই হাতাহাতির মধ্যেই গুলনাথ আসন থেকে পড়ে যান। সিটের কোণায় মাথা ঠুকে যায়। তারপরই স্নেহার হাতে শো-পিস দিয়ে মহিলা কনস্টেবলের মাথায় মারেন ওই প্রৌঢ়। মহিলা কনস্টেবলের মাথা থেকে রক্ত ঝরতে থাকে।
আরও পড়ুন: বাবা যখন 'বস'! এমনটা হলে কী ঘটতে পারে তা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন এই পাইলট? ককপিটে সফর শুরু
সেই পরিস্থিতিতে সিউড স্টেশনে সবাইকে নামান ওই মহিলা কনস্টেবল। নিয়ে যান ভাসি পুরসভার হাসপাতালে। সেখানে ওই মহিলা কনস্টেবলকে ভরতি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় বাকিদের। তারইমধ্যে গুলনাথ এবং অঞ্জুর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে অঞ্জুকে।