চলন্ত ট্রেনেই এক ফুটফুটে শিশু কন্যার জন্ম দিলেন মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের থানে স্টেশনের কাছে। পবন এক্সপ্রেসে করে যাচ্ছিলেন ওই মহিলা। থানে স্টেশনে ঢোকার আগেই মহিলার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। তখন ট্রেনের শৌচালয়ে শিশু কন্যার জন্ম দেন তিনি। পরে স্টেশনে পৌঁছতেই তাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন রেলের আধিকারিকরা। রেলের তরফে মা ও শিশু দুজনকেই পাঠানো হয় হাসপাতালে। বর্তমানে দুজনেই সুস্থ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ট্রেনের মধ্যেই মেচেদায় সন্তান প্রসব বাংলাদেশির, বাগনানে থামিয়ে আনা হল হাসপাতালে
জানা যাচ্ছে, মহিলা মুম্বইয়ের সিওনের বাসিন্দা। একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পবন এক্সপ্রেসে করে বিহারের দ্বারভাঙায় যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন স্বামী মহম্মদ ফারুক এবং তাদের আর এক কন্যা। তারা টু-টায়ার এসি কোচে যাচ্ছিলেন। তবে থানের কাছাকাছি আসতেই ঘটে বিপত্তি। চলন্ত ট্রেনেই প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। এরপর কী উপায় বুঝতে না পেরে ফারুক তার স্ত্রীকে ট্রেনের শৌচালয়ে যেতে বলেন। আর শৌচালয়ের বাইরেই অপেক্ষা করছিলেন ফারুক। একইসঙ্গে তিনি ট্রেনের কর্মীদেরও এবিষযটি জানান। ট্রেনের কর্মীরা তখন খানের স্টেশন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। এরমধ্যেই ট্রেনে শৌচালয়ে শিশু কন্যার জন্ম দেন ওই মহিলা। এদিকে, এই খবর পাওয়ার পরেই থানের ডেপুটি স্টেশন মাস্টার শিশির সিং চিকিৎসকদের একটি দলকে প্রস্তুত থাকতে বলেন। ট্রেনটি থানার ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছতেই মা ও শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা যাচ্ছে, মহিলার স্বামী ধারাভিতে একটি ব্যাগ তৈরির কারখানায় কাজ করেন। তিনি জানান, এই অবস্থায় স্ত্রী ট্রেনে দীর্ঘ পথ ভ্রমণ করতে পারবেন কি না তার জন্য তিনি চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিয়েছিলেন। চিকিৎসক ট্রেন ভ্রমণের অনুমতি দিয়েছিলেন। তারপরেই পারিবারিক অনুষ্ঠানে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী স্টেশনে যাওয়ার সময় কয়েক মিনিটের জন্য পেটে ব্যথা অনুভব করেছিলেন। তবে পরে ব্যথা কমে যাওয়ায় আমরা ট্রেনে চড়েছিলাম। কিন্তু ট্রেন চলতে শুরু করার কয়েক মিনিট পরেই আবার আমার স্ত্রী পেটে তীব্র ব্যথার অনুভব করেন। তখন আমি তাকে শৌচালয়ে যেতে বলেছিলাম। আমি বাইরে অপেক্ষা করছিলাম এবং রেল কর্মীদের সতর্ক করেছিলাম। তারপরেই আমার স্ত্রী সন্তান প্রসব করেন।’ উল্লেখ্য, এর আগেও চলন্ত ট্রেনে সন্তান প্রসবের ঘটনা ঘটেছে।