সপ্তর্ষি দাস
কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং। সেখানে একাধিক গুরুক্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হল সোমবার। পাঁচ রাজ্যের ভোটের সময়সূচি ঘোষণা আগে বড় ঘোষণা করে দিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে হবে। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, কংগ্রেস যদি ২০২৪ সালে ক্ষমতায় আসে তবে মহিলা সংরক্ষণ বিল সঙ্গে সঙ্গে লাগু করবে।কংগ্রেস শীর্ষ নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়েছেন, কংগ্রেস ও বিরোধী দলগুলি একেবারে মন থেকে মহিলা সংরক্ষণ বিলকে সমর্থন করেছে। যদি মোদীজি চান তবে এই ভোট থেকেই মহিলা সংরক্ষণ বিল লাগু করা যেত। এমনকী ওবিসি মহিলারাও স্থান পেতেন। কিন্তু এই বিলকে কেবলমাত্র প্রচার পাওয়ার জন্য ও ভোট ব্যাঙ্ক বৃদ্ধির জন্য কাজে লাগানো হচ্ছে। তবে আসল সত্যিটা হল কংগ্রেস নারীদের ক্ষমতা দেওয়ার জন্য সিংহভাগ কাজ করেছে। যদি আমরা ২০২৪ সালে ক্ষমতায় আসি তবে আমরা সঙ্গে সঙ্গে মহিলা সংরক্ষণ বিল লাগু করব। ওবিসি মহিলাদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণের বিষয়টিও নিশ্চিত করব আমরা।
সেই সঙ্গেই মিটিংয়ে খাড়গে জানিয়েছেন, ওরা( বিজেপি-কেন্দ্রীয় সরকার) সরাসরি আমাদের আক্রমণ করছে। সীমা অতিক্রম করছে ওরা। ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই ওরা ততই আক্রমণ বাড়াচ্ছে। মিথ্য়ে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। শাসকদল বুঝতে পেরে গিয়েছে এই ভোটে তাদের কী পরিস্থিতি হতে পারে। সেকারণে তারা এবার মিথ্য়ে বলতে শুরু করে দিয়েছে।
সেই সঙ্গে দেশজুড়ে জাতিগত জনগণনার দাবিতে সরব হয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গেই পেনশন স্কিম নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।
তিনি বলেন, নতুন পেনশন স্কিম নিয়ে সরকারি কর্মীরা অত্য়ন্ত ক্ষুব্ধ। গোটা দেশজুড়ে বিভাজনের নীতি চলছে। ইডি, সিবিআই, আইটি বিরোধীদের বিরুদ্ধে কাজে লাগানো হচ্ছে। গত পাঁচ মাস ধরে মণিপুরের পরিস্থিতি ভয়াবহ। বিরোধীরা বার বার দাবি করা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী মণিপুরে গেলেন না। রাজস্থান ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মিজোরামের ভোটের জন্য বিশেষ কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও তারা তুলেছেন।