গোয়ায় প্যারাগ্লাইডিং করার সময় দুর্ঘটনা। প্যারাগ্লাইডটির দড়ি ছিঁড়ে মৃত্যু হল এক পর্যটক এবং প্যারাগ্লাইডার অপারেটরের। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় কেরি মালভূমিতে। এই ঘটনায় গোয়া পুলিশ প্যারাগ্লাইডিং কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক হত্যার অভিযোগে মামলা করেছে। জানা গিয়েছে, মৃত পর্যটক মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা এবং অপারেটর হলেন নেপালের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: সাত বছর পরে দার্জিলিংয়ে ফিরছে প্যারাগ্লাইডিং, খরচ কেমন পড়বে? কবে থেকে শুরু?
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকেল ৪.৩০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মহিলা পর্যটকের নাম শিবানী ডাবলে (২৭)। তিনি মহারাষ্ট্রের পুণের বাসিন্দা। অন্যদিকে, অপারেটরের নাম সুমন নেপালি (২৬)। পুলিশ জানিয়েছে, এক বন্ধুর সঙ্গে গোয়ায় গিয়েছিলেন শিবানী। পুলিশ জানিয়েছে, কেরি মালভূমিতে কম উচ্চতায় যাত্রা করেছিল প্যারাগ্লাইডারটি। তার ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, যে প্যারাগ্লাইডারের একটি দড়ি ছিঁড়ে যায় এবং তারা দুজনে পাথরে আঘাতপ্রাপ্ত হন। দুজনের শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড় ভেঙে যায়। তড়িঘড়ি তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, দুজনকে উদ্ধারের পর অ্যাম্বুলেন্সে করে গোয়া মেডিক্যাল কলেজে (জিএমসি) স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। সেখানে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল। মৃতদেহগুলি মর্গে রাখা হয়েছে। মান্দ্রেমের বিধায়ক জিত আরোলকার বলেছেন, কেরি মালভূমিতে প্যারাগ্লাইডিং কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য তিনি পর্যটন বিভাগকে চিঠি দিয়েছেন। কারণ এটি একটি বিপজ্জনক এলাকা। তিনি বলেন, কেরি পঞ্চায়েত ইতিমধ্যেই প্যারাগ্লাইডিং কার্যক্রম বন্ধ করার একটি প্রস্তাবনা নিয়েছে। আরোলকার বলেন, যে মালভূমিতে চারটি প্যারাগ্লাইডিং অপারেটর রয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনার পরেই পুলিশ কোম্পানির মালিক মালিক শেখর রায়জাদার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মান্দ্রেম থানায় একটি অপরাধ নথিভুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ, এর জন্য কোনও অনুমতি না নিয়েই প্যারাগ্লাইডার অপারেটরকে জেনেশুনে পর্যটকের সঙ্গে প্যারাগ্লাইডিং কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুমতি দিয়েছিলেন।
পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট (এসপি) টিকাম সিং বর্মা জানান, যে তাঁর এই কাজটি মানুষের জীবনকে বিপন্ন করতে পারে এবং উপার্জনের জন্য, রায়জাদা ইচ্ছাকৃতভাবে শিবানী এবং নেপালিকে বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই প্যারাগ্লাইডিং চালানোর অনুমতি দিয়েছিলেন। যার ফলে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। মান্দ্রেম পুলিশ মালিকের বিরুদ্ধে বিএনএসের ১০৫ ধারায় মামলা রুজু করেছে।