সপ্তাহে কাজ করতে হবে মাত্র চারদিন! নয়া লেবার কোড বা শ্রমবিধির আওতায় শীঘ্র এমনই একটি বিকল্প প্রদান করতে চলেছে কেন্দ্র। তবে তা বাধ্যতামূলক নয়। সপ্তাহে পাঁচদিন বা ছ'দিন কাজেরও সুযোগ দেওয়া হবে। তবে সার্বিকভাবে সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা কাজ করতে হবে।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় শ্রমসচিব অপূর্ব চন্দ্র জানান, সপ্তাহে কতদিন কাজ করানোর পথে হাঁটতে পারে দেশের সংস্থাগুলি, তা নিয়ে তিনটি বিকল্প দেওয়া হবে - দৈনিক ১২ ঘণ্টা ভিত্তিতে সপ্তাহে চারদিন, প্রতিদিন ১০ ঘণ্টার মতো কাজ করলে সপ্তাহে পাঁচদিন এবং সপ্তাহে ছ'দিন কাজ করলে দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করতে হবে। যাঁরা সপ্তাহে চারদিন কাজ করবেন, তাঁরা তিনদিন ছুটি পাবেন। পাঁচদিন কাজ করলে নয়া সপ্তাহ শুরুর আগে দু'দিন ছুটি দিতে হবে। আর সপ্তাহে ছ'দিন কাজ করলে একদিন ছুটি মিলবে। তবে কেন্দ্রীয় শ্রমসচিব জানিয়েছেন, কোনও বিধি মেনে চলতে নিয়ে কর্মী বা সংস্থাকে জোরাজুরি করা হবে না। দেশের কর্মসংস্কৃতিতে যে পরিবর্তন আসছে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই শুধুমাত্র কর্মবিধির ক্ষেত্রে নমনীয়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত নিয়মে কিছু পরিবর্তন করা হবে।
ইতিমধ্যে চারটি শ্রমবিধির (মজুরি বিধি, শিল্পকাজের ক্ষেত্রে সুরক্ষা বিধি, স্বাস্থ্য ও কাজের পরিবেশের বিধি এবং সামাজিক সুরক্ষা বিধি) আওতায় কী কী নিয়ম হবে, তা নিয়ে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক। শ্রমসচিব বলেন, ‘নিয়ম তৈরি করার কাজ ইতিমধ্যে চলছে এবং আগামী সপ্তাহে সেই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। নিয়মবিধি তৈরির কাছে সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। শীঘ্রই চারটি শ্রমবিধি - মজুরি বিধি, শিল্পকাজের ক্ষেত্রে সুরক্ষা বিধি, স্বাস্থ্য ও কাজের পরিবেশের বিধি এবং সামাজিক সুরক্ষা বিধি আনার জন্য তৈরি থাকবে মন্ত্রক।’
একইসঙ্গে চুক্তিভিত্তিক কর্মী, পরিযায়ী শ্রমিক-সহ অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের নথিভুক্ত করার জন্য আগামী জুনের মধ্যেই একটি অনলাইন পোর্টাল চালু করার কাজ করছে। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কর্মীদের স্বাস্থ্য, বাড়ি, বিমা, খাদ্য প্রকল্প-সহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে সেই পোর্টাল। সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনার আওতায় এক বছরের জন্য তাঁদের দুর্ঘটনা এবং প্রতিবন্ধকতা জনিত ইনসেনটিভ প্রদান করা হবে।