বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > World Bank: আগামী বছর বিশ্বজুড়ে প্রবল মন্দার আশঙ্কা বিশ্ব ব্যাঙ্কের

World Bank: আগামী বছর বিশ্বজুড়ে প্রবল মন্দার আশঙ্কা বিশ্ব ব্যাঙ্কের

ফাইল ছবি: পিটিআই ও টুইটার (PTI & Twitter)

World Bank Fears Recession: আন্তর্জাতিক মন্দার বেশ কিছু লক্ষণ ইতিমধ্যেই বেশ স্পষ্ট, উল্লেখ করা হয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টে। ১৯৭০ সালের মন্দা-পরবর্তী পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের পর থেকে বিশ্ব অর্থনীতি কখনও এত মন্থর ও দুর্বল হয়নি।

আগামী বছর বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা আসতে পারে। এক নয়া প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। মুদ্রাস্ফীতি কমাতে দেশগুলিকে উত্পাদন বৃদ্ধি ও সরবরাহে ব্যাঘাত কমানোর আহ্বান জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক।

আন্তর্জাতিক মন্দার বেশ কিছু লক্ষণ ইতিমধ্যেই বেশ স্পষ্ট, উল্লেখ করা হয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টে। ১৯৭০ সালের মন্দা-পরবর্তী পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের পর থেকে বিশ্ব অর্থনীতি কখনও এত মন্থর ও দুর্বল হয়নি।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির ইতিমধ্যেই সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা করছে। খাদ্য এবং জ্বালানির মতো দ্রব্যের চড়া দাম বাড়ছে বিশ্বজুড়ে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ থেকে শুরু করে ভারত, ঋণে সুদের হার বাড়াছে প্রায় প্রতিটি দেশ। এর পিছনে লক্ষ্য হল, বাজারে সস্তায় অর্থের সরবরাহ রোধ করা। এটি মুদ্রাস্ফীতি কমাতে সহায়তা করে। কিন্তু এই ধরনের আর্থিক নিয়ন্ত্রণ করারও ঝুঁকি রয়েছে। সেটি কী?

ঋণে সুদের হার বেড়ে গেলে স্বাভাবিকভাবেই মানুষ, সংস্থাগুলি পিছিয়ে আসে। আর তার ফলে বিনিয়োগ কমে যায়। আর বিনিয়োগ কমলেই চাকরি কমে যায়। বাণিজ্য, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি হ্রাস পায়। ফলে মূল্যবৃদ্ধির এই বাজারে ভারসাম্য খুঁজে পাওয়াটাই এখন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

বিশ্বজুড়ে এই রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতির কারণ হিসাবে যা বলা হচ্ছে:

বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস বৃহস্পতিবার এই রিপোর্ট প্রকাশের পর একটি বিবৃতি দেন। তাতে তিনি বলেন, 'এই প্রবণতা চলতে থাকলে তাতে দীর্ঘস্থায়ী পরিণতি হতে পারে। এর ফলে উদীয়মান বাণিজ্যক্ষেত্র ও উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে সাংঘাতিক প্রভাব পড়তে পারে।

গত অগস্টে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) তৃতীয়বারের জন্য রেপো রেট বৃদ্ধি করেছে।এক ধাক্কায় তা ৫০ বেসিস পয়েন্ট বেড়েছে(৫.৪০%)। আরবিআই ২০২২-২৩-এ মূল্যস্ফীতির অনুমান ৬.৭% বলে জানিয়েছে। অন্যদিকে ভারতের প্রকৃত জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৭.২% বলে ঘোষণা করেছে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসের তুলনায় অগস্টে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। খাদ্যদ্রব্যের চড়া দামের কারণে ভারতের খুচরো মূল্যস্ফীতি অগস্টে ৭% পৌঁছে গিয়েছে(খবরটি পড়তে ক্লিক করুন)। উপভোক্তা মূল্যস্ফীতি এই নিয়ে টানা আট মাস ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সহনীয় সীমার উপরে রয়েছে।

বন্ধ করুন