ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস (আইসিজে) রোহিঙ্গাদের গণহত্যা রুখতে ব্যবস্থা নিতে বলল মায়ানমার সরকারকে। দেশ থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর প্রথম বড় আইনি জয় পেলেন রোহিঙ্গা মুসলমানরা। স্বাভাবিক ভাবেই খুশি তাঁরা।
মায়ানমার রোহিঙ্গাদের গণহত্যা করছে , গাম্বিয়ার এইআবেদনের ভিত্তিতে রায় দিল আন্তর্জাতিক আদালত। তবে এটি চূড়ান্ত রায় নয়। প্রাথমিক ভাবে রোহিঙ্গাদের স্বার্থে মায়ানমারকে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে বলে সর্বসম্মতভাবে রায় দেন ১৭ জন বিচারপতি।
১৯৪৮ সালের জেনিভা কনভেশনে যে সব কাজ মানা, সেগুলি রোখার জন্য সব রকমের প্রচেষ্টা করতে হবে মায়ানমারকে বলে আদালতের রায়। রোহিঙ্গাদের নিপীড়ন রুখতে সেনা বাহিনী ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর ওপর সরকারকে কাবু পেতে হবে। মায়ানমারকে চার মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে বলে জানিয়েছে আইসিজে। সারা বিশ্ব থেকে রোহিঙ্গাদের সাহায্য করছেন যারা, এদিনের রায় বিশেষ ভাবে খুশি তাঁরা।
বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাংলাদেশি অনুপ্রেবেশকারী হিসাবে গণ্য করা হয়। সেনাবাহিনীর অপারেশনের পর প্রায় সাত লক্ষ রোহিঙ্গা দেশ ছাড়েন। অনেকেই বাংলাদেশে ক্যাম্পে থাকেন। সেখানে আজ খুশির হাওয়া, এতদিন পরে বিচারের আশা দেখে। যে সব রোহিঙ্গারা মায়ানমারে আছেন, তাদের আশা এরপর কিছুটা উন্নতি হবে তাঁদের পরিস্থিতিতে। মায়ানমার সরকার এখনও নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
মায়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ নিয়ে এসেছিল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ গাম্বিয়া। মায়ানমারের নেতা সু কি নিজে এসে আইসিজে-তে বলেন যে এই আবেদন বাতিল করা উচিত। কিছু অত্যাচার হয়েছে এটা মেনে সুকি বলেন যে অনেক বাড়িয়ে চড়িয়ে সেগুলি বলা হয়েছে। কিন্তু প্রাথমিক শুনানিতে ধোপে টিকল না সুকির আপত্তি।
'