ভারতের বিস্ময়কর কাজের দিকে তাকিয়ে থাকে পুরো বিশ্ব। যা ঐতিহ্যের বহুত্বকে তুলে ধরে। তা সত্ত্বেও বিশ্বের সবথেকে বড় গণতন্ত্র এবং প্রাণবন্ত গণতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এমনটাই বললেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
শনিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে রাষ্ট্রপতি দেশবাসীকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, ‘ভারত এবং ভারতের বাইরে বসবাসকারী সমস্ত ভারতীয়দের স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে পেরে আমি অত্যন্ত খুশি। এবারের স্বাধীনতা দিবস বিশেষ তাৎপর্য। কারণ এবার ভারতের স্বাধীনতা ৭৫ বর্ষের শুরু হচ্ছে। সেজন্য আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উদযাপন করা করছে।’
রাষ্ট্রপতি জানান, মহাত্মা গান্ধীজি যা শিখিয়েছিলেন, সেই পথে হেঁটে চলেছে ভারত। তিনি বলেন, ‘আমাদের গণতান্ত্রিক দেশের ৭৫ বছরের যাত্রার দিকে তাকিয়ে দেখলে আমাদের গর্বিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। গান্ধীজি আমাদের শিখিয়েছেন, দ্রুত গতিতে ভুল পথে হাঁটার পরিবর্তে কীভাবে সঠিক দিকে ধীরে এবং স্থায়ীভাবে এগিয়ে যাওয়া বেশি ভালো। ভারতের বিস্ময়কর কাজের কাজের দিকে তাকিয়ে থাকে বিশ্ব। যা ঐতিহ্যের বহুত্বের ক্ষেত্র। তা সত্ত্বেও বিশ্বের সবথেকে বড় গণতন্ত্র এবং প্রাণবন্ত গণতন্ত্রে পরিণত হয়েছে।’
শনিবার রাষ্ট্রপতি জানান, যখন দেশ স্বাধীন হয়েছিল, তখন অনেকেই মনে করেছিলেন যে ভারতে গণতন্ত্র টিকবে না। কোবিন্দের কথায়, ‘তাঁরা হয়ত জানতেন না যে প্রাচীনকাল থেকেই এই দেশে গণতন্ত্রের শিকড়ের লালন-পালন করা হয়েছে। আধুনিক সময়ও অনেক পশ্চিমী দেশগুলির থেকেও ভারত অনেক এগিয়ে আছে। কোনওরকম বিভেদ ছাড়া সকল প্রাপ্তবয়স্ককে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দিয়েছে ভারত।’
দেশের সংসদীয় কাঠামোর উপর জোর দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমরা সংসদীয় গণতন্ত্রকে গ্রহণ করেছি। তাই সংসদ হল আমাদের গণতন্ত্রের মন্দির। যা মানুষের কল্যাণের জন্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা, বিতর্কে সামিল হওয়া এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দেয়।’