সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক এনজিও ‘রিপোর্টারস উইদআউট বর্ডার’ নিজেদের এক রিপোর্টে দাবি করে যে বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ভারত ১৫০তম স্থানে রয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক সংস্থার এই রিপোর্টকে খারিজ করল ভারত। গত মে মাসে চলতি বছরের মুক্ত গণমাধ্যম বিষয়ক র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছিল রিপোর্টারস উইদআউট বর্ডার্স। সেখানে ভারত ১৫০তম স্থানে নেমে যায়। এর আগে ২০২১ সালে ভারত ১৪২তম স্থানে ছিল। মঙ্গলবার সংসদে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এই রিপোর্টকে খারিজ করেন।
লোকসভায় একটি লিখিত উত্তরে অনুরাগ ঠাকুর বলেন ‘সরকার তাদের (এনজিও-র) দৃষ্টিভঙ্গি এবং দেশের র্যাঙ্কিংয়ে মান্যতা দেয় না... বিভিন্ন কারণে সরকার এই ব়্যাঙ্কিংকে মান্যতা দেয় না। কারণ খুব কম নমুনা নিয়ে সমীক্ষা করা হয়েছে, গণতন্ত্রের মৌলিক বিষয়গুলিতে সামান্য বা কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, যে পদ্ধতি গ্রহণ করে সমীক্ষা করা হয়েছে তা সন্দেহজনক এবং অ-স্বচ্ছ।’ তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মালা রায় এবং দ্রাবিড় মুনেত্র কাজগম সাংসদ এ রাজা এবং এ গণেশমূর্তির প্রশ্নের ভিত্তিতে এই জবাব দেন অনুরাগ ঠাকুর।
অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘সরকার সংবাদমাধ্যমের কাজে হস্তক্ষেপ করে না। সংবাদমাধ্যমের অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করে থাকে প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া। এটি একটি বিধিবদ্ধ স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা। প্রেস কাউন্সিল আইন, ১৯৭৮-এর অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই সংস্থা। মূলত সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সংরক্ষণ এবং দেশের সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থাগুলির মান উন্নত করার জন্য কাজ করে এই সংস্থা। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব, সাংবাদিকদের উপর শারীরিক হামলা/আক্রমণ ইত্যাদি বিষয়ে করা অভিযোগ বিবেচনা করে প্রেস কাউন্সিল।’ মন্ত্রী নিজের জবাবে আরও বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার সাংবাদিক সহ দেশের সমস্ত বাসিন্দাদের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে।’