লাদাখে সীমান্ত নজরদারি করার জন্য দুটি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার মোতায়েন করল বায়ুসেনা। এগুলি তৈরী করেছে Hindustan Aeronautics Limited (হ্যাল)। কোনও প্রয়োজন পড়লে বায়ুসেনা যাতে মুহূর্তে ঘটনাস্থলে যেতে পারে, তার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
হ্যালের চেয়ারম্যান আর মাধবন জানান যে এটা বিশ্বের সবচেয়ে হাল্কা আক্রমণাত্মক হেলিকপ্টার যেটা বায়ুসেনার প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী তৈরী করা হয়েছে। এটি আত্মনির্ভর ভারতে হ্যালের যে অবদান,তার একটি উদাহরণ বলে জানিয়েছেন সংস্থার প্রধান। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে যে ১০১টি সামরিক পণ্য সেনা আর বাইরে থেকে আনাবে না, তার মধ্যে আছে লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (এলসিএইচ)।
স্থল ও বায়ুসেনা মিলিয়ে মোট ১৬০টি এলসিএইচ-এর প্রয়োজন। এই বছরের মধ্য ১৫টির বরাত আসবে বলে হ্যালের আশা। তবে এখনই শত্রুপক্ষে গিয়ে এলসিএইচ আক্রমণ করবে তেমন নয়, কারণ কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য এখনও সেগুলিতে যুক্ত করা হয়নি। তাই এটি মূলত প্রতীকী, চিনকে বার্তা দেওয়ার জন্য।
এই মুহূর্তে অ্যান্টি আর্মার ও এয়ার টু এয়ার ওয়েপেন নেই এই হেলিকপ্টারগুলিতে। সেটার কাজ চলছে। এই মুহূর্তে রকেট ও ক্যানন আছে এই হেলিকপ্টারে। গত সপ্তাহে লাদাখে গিয়ে এই বিশেষ হেলিকপ্টার চালান বায়ুসেনার উপপ্রধান হরজিৎ সিং অরোরা।
তিনি একটি সিমুলেটেড অ্যাটাকের জন্য চপারটি ওড়ান ও তারপর সেটিকে ল্যান্ড করান দক্ষতার সঙ্গে। পুরো প্রক্রিয়ায় এলসিএইচটি দেখায় যে কতটা কার্যকরী এটি। সূত্রের খবর, এখনও বায়ুসেনাকে যেটা দেওয়া হয়েছে সেটা প্রোটোটাইপ। এরপর প্রয়োজনমতো অস্ত্র সিস্টেম এটায় ইনস্টল করে দেবে হ্যাল।