বিশ্বের সবচেয়ে সর্ববৃহৎ প্যাসেঞ্জার ট্রেন এগিয়ে গেল আল্পস পর্বতমালার মধ্য দিয়ে। দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এই ট্রেনে রয়েছে ১০০ টি কোচ। সুইৎজারল্যান্ডের সুইস ল্যান্ডের মধ্য দিয়ে পার করে গিয়েছে এই ট্রেন। রিশান রেলওয়ে জানিয়েছে, এই ট্রেনটি তৈরি করে ফেলেছে একটি নতুন ওয়ার্ল্ড রেকর্ড।
এবার প্রশ্ন উঠবেই যে কোন এমন রেকর্ড পার করে খবরের শিরোনাম কাড়ল এই ট্রেন? তার উত্তর হল, সুইজারল্যান্ডের বিখ্যাত রেলওয়ে সিস্টেমের ১৭৫তম বার্ষিকী স্মরণে একটি অনুষ্ঠানে সর্ববৃহৎ যাত্রীবাহী ট্রেন হিসাবে এই ট্রেন ঢুকে পড়েছে রেকর্ডের ঝুলিতে। উল্লেখ্য, বাকি বহু ফ্রেট ট্রেন এই ট্রেনের থেকে লম্বা, তবে সেগুলি প্যাসেঞ্জার ট্রেন নয়। এই ট্রেনটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন হিসাবে পরিচিত। শনিবার এই ট্রেন অ্যালবুলা- বারনিনা রুটের মধ্যে দিয়ে সদর্পে এগিয়ে যায়। আর তার সঙ্গেই তা বিশ্বরেকর্ডের তালিকায় অংশ নেয়।
উল্লেখ্য, এই এলাকা ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পাওয়া এলাকা। সেখানে প্রায় ৩০০০ জন এই এই বিশেষ ট্রেন সফরের প্রতিটি পরত বড় স্ক্রিনে দেখার জন্য বিশেষ টিকিট কেনেন। যখন উপত্যকার মধ্য দিয়ে যখন শরতের রঙে রাঙিয়ে থাকা গাছগুলির পাশ দিয়ে ট্রেন এগোতে থাকে, তখন পাশের রাস্তায় দাঁড়িয়ে অনেকেই ট্রেনের দিকে হাত নাড়তে থাকেন। ট্রেনের এই ঐতিহাসিক সফরকে চোখভরে দেখার জন্যও জনতার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
যে রাস্তা ধরে এই ট্রেন চলেছে, সেখানে ২২ টি হেলিকল টানেল রয়েছে। ৪৮ টি ব্রিজ রয়েছে। রয়েছে ৪৮ টি ব্রিজ। এবার আসা যাক এই বিশেষ ট্রেনের বর্ণনায়। ২৫ টি সেপারেবল মাল্টিপল ইউনিট নিয়ে সংঘবদ্ধ এই ট্রেন। যার দৈর্ঘ্য ১৯১০ মিটার। সঙ্গে ২১ জন টেকনিশিয়ান রয়েছেন ট্রেনে। রয়েছেন ৭ জন চালক। প্রথম ড্রাইভার বাকিদের সকলকে সচেতন করবেন, এমন স্ট্র্যাটেজিতেই এগিয়ে চলে এই ট্রেন। উল্লেখ্য, ১৮৪৭ সালৈর ৯ অগস্ট প্রথম এই দেশটির ট্রেন পরিষেবা চালু হয়। তা চলে জুরিখ থেকে বাডেন পর্যন্ত। যা উত্তর পশ্চিমের ২৩ কিলোমিটার রাস্তা ৩০ মিনিটে পার করে।