সাধারণত সৌভাগ্যের আশায় জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে পান্না কেনা হয়ে থাকে। তাও কেনা হয় রতিতে। সামান্য রতির পান্না অনেকেই ধারণ করেন। তবে জানেন কী, জাম্বিয়ায় আবিষ্কার হয়েছে ১ কেজি ৫০৫ গ্রামের 'আনকাট' বা না কাটা পান্না! উল্লেখ্য, এই আবিষ্কারে নাম জুড়েছে এক বঙ্গসন্তানের।
রিচার্ড কাপেটার সঙ্গে বঙ্গসন্তান মানস বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিশালাকার আনকাট পান্না উদ্ধার করেছেন। জিডাব্লিউআরের তরফে তাদের ব্লগে লেখা হয় যে এই আনকাট পান্না উদ্ধার হয়েছে ২০২১ সালে। জাম্বিয়ার কপারবেল্ট প্রভিন্সে এই পান্না উদ্ধার হয়েছে। সেখানের খণি থেকে এই পান্না উদ্ধার হতেই তার নাম ‘চিপামবেল’ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় ভাষার সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে। স্থানীয় 'বেম্বা' প্রজাতির মানুষের ভাষায় এই শব্দের অর্থ হল গণ্ডার। এই পান্নার কিছু দিক গণ্ডারের শঙ্গের মতো উঁচু হওয়ায় তার নাম এমন হয়েছে।
চিপেমবেলের আগে এই খনি থেকে আর দুটি বৃহদাকার পান্না উদ্ধার হয়েছে। এই খনিটি সেদেশের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন ও গেমফিল্ডসের যৌথ মালিকানায় রয়েছে। এর আগে যে দুটি বৃহদাকার পান্না উদ্ধার হয় তাদের নাম ছিল স্থানীয় ভাষায় ‘ইনসোফু ’ ও ‘ইনকালামাউ’ । যে নামের অর্থ স্থানীয় ভাষায় হাতি ও সিংহ যথাক্রমে। আপাতত এই ‘চিপামবেল’ পান্নার জন্য গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে আবেদন করেছে জিডাব্লিউআর।
প্রসঙ্গত এই বিশ্বে এর আগে এতবড় পান্না উদ্ধার হয়নি আগে বলে দাব করা হচ্ছে। ৭৫২৫ ক্যারেটের এই পান্না কাজেম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে, যে বঙ্গসন্তান ভূতত্ত্ববিদের নাম এই উদ্ধার কাজে উঠে আসছে সেই মানস বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুরের বাসিন্দা ছিলেন। এককালে পড়াশোনা করেছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। তারপর বর্তমানে কাজেমের খনিতে গবেষণারত। সদ্য তিনি জিওরক কনসাল্টিংয়ে যোগ দিয়েছেন কর্মজীবনে। আর সেই সূত্রে বিশ্বের বিভিন্ন খনিতে তিনি কর্মরত ছিলেন।